ধর্ম ডেস্ক
১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম
ঝাড়-ফুঁক যদি পবিত্র কোরআনের আয়াত বা হাদিসে বর্ণিত কোনো দোয়ার মাধ্যমে হয় তাহলে তা বৈধ। মূলত মাসনুন দোয়ার মাধ্যমে ঝাড়-ফুঁকের উদ্দেশ্য হলো- আল্লাহর কাছে আরোগ্য কামনা করা। আর আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া কবুল করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা গাফির: ৬০)
তাই মুমিনের দায়িত্ব হলো—আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা। প্রিয়নবী (স.) উম্মতকে বিভিন্ন সময় ও প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দোয়া শিখিয়েছেন। তার মধ্যে একটি দোয়া হলো—রোগ থেকে দ্রুত আরোগ্যলাভের দোয়া।
দোয়াটি হলো— اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ مُذْهِبَ الْبَاسِ اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شَافِيَ إِلاَّ أَنْتَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা রাব্বান-নাসি মুজহিবাল বা’সি, ইশফি আনতাশ-শাফি, লা শাফি ইল্লা আনতা শিফাআন লা ইউগাদিরু সুকমা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূরকারী। আমাকে আরোগ্য দিন, আপনি আরোগ্যকারী—আপনি ছাড়া কোনো আরোগ্যকারী নেই। এমন আরোগ্য দিন যেন কোনো রোগ অবশিষ্ট না থাকে।’
আরও পড়ুন
অসুস্থ ব্যক্তির পাশে ৭ বার যে দোয়া পড়া সুন্নত
যে দোয়া ৩ বার পড়লে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না
শিশুর ভয় দূর করতে যে দোয়া পড়ে ফুঁ দেবেন
আব্দুল আজিজ (রহ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও সাবিত একবার আনাস ইবনে মালিক (রা.)-এর নিকট গেলাম। সাবিত বললেন, হে আবু হামজা! আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। তখন আনাস (রা.) বললেন, আমি কি তোমাকে রাসুলুল্লাহ (স.) যা দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করেছিলেন তা দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করে দেব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন আনাস (রা.) এই দোয়াটি পড়লেন। (বুখারি: ৫৭৪২)
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে নবীজির অনুসরণে রোগাক্রান্ত ব্যক্তির জন্য উক্ত দোয়াটি পড়ার তাওফিক দান করুন এবং এই দোয়ার বরকতে অসুস্থ ব্যক্তিকে সুস্থতা দান করুন। আমিন।