images

ইসলাম

ফজরে দেরিতে ঘুম ভাঙলে উঠেই যা করবেন

ধর্ম ডেস্ক

২২ মে ২০২২, ১২:৪৬ পিএম

ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হলো নামাজ। মুসলমানদের প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নির্ধারিত সময়ে আদায় করা ফরজ। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেছেন, اِنَّ الصَّلٰوۃَ کَانَتۡ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ کِتٰبًا مَّوۡقُوۡتًا ‘নিশ্চয় নামাজ মুমিনদের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

ফজরের নামাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় হলো সুবহে সাদিক থেকে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত। এর দলিল হলো- ফজরের নামাজের সময় শুরু হয় ফজর বা ঊষার উদয় থেকে শুরু করে সূর্যোদয় পর্যন্ত (মুসলিম: ৬১২)। সুতরাং ঘুম থেকে উঠতে না পারা বা ভুলে যাওয়ার কারণে ফজর নামাজ ছুটে গেলে তার ওপর কাজা করা ওয়াজিব।

কেননা, রাসুলুল্লাহ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করতে ভুলে যায় বা সেসময় ঘুমিয়ে থাকায় তা ছুটে যায়, তাহলে তার কাফফারা হলো- সে যখনই তা মনে করবে, তখনই (সঙ্গে সঙ্গে) নামাজ আদায় করে নেবে।’ (মুসলিম: ৬৮৪)

মনে রাখতে হবে, ইচ্ছাকৃতভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নামাজ আদায় না করা কবিরা গুনাহ। তাদের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে কঠোর হুঁশিয়ারি রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাজির, যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে উদাসীন।’ (সুরা মাউন: ৪-৫)

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় প্রখ্যাত তাফসিরবেত্তা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘যারা নামাজের নির্দিষ্ট সময় থেকে দেরিতে আদায় করে…। ’ (তাফসিরে কুরতুবি, পৃষ্ঠা-২১১, খণ্ড: ২০)

উল্লেখ্য, সূর্যোদয়ের সময় অর্থাৎ যতক্ষণ সূর্যের হলুদ রঙ ভালোভাবে চলে না যায়, তখন নামাজ পড়া নিষেধ। এজন্য আগেপিছে আনুমানিক ১৫-২০ মিনিট সময় নামাজ না পড়া প্রয়োজন। সুতরাং এসময়ে কোনো নামাজ পড়া যাবে না। নিষিদ্ধ সময়টি অতিবাহিত হওয়ার পরে ফজর পড়বেন কাজা হিসেবে।

কেননা হাদিসে এসেছে, উকবা বিন আমের জুহানি (রহ.) বলেন- ‘তিনটি সময়ে রাসুল (স.) আমাদের নামাজ পড়তে এবং মৃতের দাফন করতে নিষেধ করতেন। সূর্য উদয়ের সময়; যতক্ষণ না তা পুরোপুরি উঁচু হয়ে যায়। সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময় থেকে তা পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া পর্যন্ত। যখন সূর্য অস্ত যায়।’ (সহিহ মুসলিম: ১৩৭৩)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাসময়ে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। ফজর নামাজের গুরুত্ব উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন। কাজা হয়ে গেলে মনে পড়ার সঙ্গেসঙ্গে তা আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।