ধর্ম ডেস্ক
২০ মে ২০২২, ০৪:৩৩ পিএম
মুমিনের চেষ্টা থাকে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার। কিন্তু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে যখন গুনাহ হয়ে যায়, তখন তার আফসোসের শেষ থাকে না। আর এই আফসোসই হচ্ছে তার ঈমানের সাক্ষ্য। ‘যখন তোমার নেক আমল তোমাকে আনন্দিত করবে এবং তোমার গুনাহ তোমাকে কষ্টে নিপতিত করবে, তাহলে (বুঝবে) তুমি মুমিন। (মুসনাদে আহমদ: ২২১৬৬; মুসতাদরাকে হাকেম: ৩৩)
গুনাহ হয়ে যাওয়ার কষ্ট থেকে মুমিন আল্লাহর দুয়ারে ক্ষমার ভিখারি হয়ে ধরনা দেন। কারণ আল্লাহ ছাড়া গুনাহ ক্ষমা করার তো কেউ নেই। যখনই তিনি উত্তমরূপে ওজু করে নামাজে দাঁড়িয়ে যান এবং ইসতেগফারের অশ্রুতে সিক্ত হন, তখন তার সকল গুনাহ ধুয়ে সাফ করে দেন গাফুরুর রাহিম।
আকবর আবু বকর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন- মুসলিম যখন কোনো গুনাহ করে ফেলে অতঃপর অজু করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে এবং উক্ত পাপের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় তখন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। এরপর নবীজি (স.) এ দুটি আয়াত তেলাওয়াত করেন, যে ব্যক্তি কোনো মন্দ কাজ করে ফেলে বা নিজের প্রতি জুলুম করে বসে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, সে অবশ্যই আল্লাহকে অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালুই পাবে। (সুরা নিসা: ১১০)
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে সুন্দর করে অজু করে এবং অজুর পর মনোযোগ দিয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়ে; তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। (মুসলিম: ২৩৪)
আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার নবীজি (স.) তাকে বলেছেন- জেনে রাখো, তোমার প্রতিটি সেজদার বিনিময়ে আল্লাহ তোমার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং একটি গুনাহ মিটিয়ে দেবেন। (মুসনাদে আহমদ: ২২২০)
মুমিনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, যেকোনো বিষয়ে সে একমাত্র আল্লাহ তাআলার সাহায্য প্রার্থনা করে এবং সাহায্য প্রার্থনায় নামাজকে মাধ্যম বানায়। কারণ আল্লাহ তাআলাই মুমিনদের এভাবে সাহায্য করতে শিখিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে সে প্রসঙ্গটি এসেছে এভাবে—
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে গুনাহ থেকে পরিস্কার থাকার জন্য নফল নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর শরণাপন্ন হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।