images

ইসলাম

বিনয়ীকে আল্লাহ যেভাবে সম্মানিত করেন

ধর্ম ডেস্ক

০৩ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম

বিনয় মানুষের অন্যতম চারিত্রিক সৌন্দর্য। ব্যক্তিত্বের প্রথম সূত্র বিনয়ী হওয়া। অর্থাৎ ব্যক্তিত্ববান মানুষ মানেই বিনয়ী। এ ধরণের মানুষকে সবাই ভালোবাসে। বাস্তব জীবনে দেখা যায়, বিনয়ের মাধ্যমে সহজে অন্যের সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধন তৈরি হয়।

বিনয় প্রত্যেক মুমিনের অপরিহার্য গুণ। তাই সবারই এই গুণ অর্জন করা উচিত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী কারিম (স.) বলেছেন, ‘ঈমানদার হয় সরল ও ভদ্র। পক্ষান্তরে পাপী হয় ধূর্ত ও হীন চরিত্রের।’ (আবু দাউদ: ৪৭৯০)

আল্লাহ তাআলা বিনয়ী বান্দাদের ভালোবাসেন। তাদের প্রশংসায় বলেন, ‘রহমানের বান্দা তারা, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞলোক যখন তাদের লক্ষ্য করে (অজ্ঞতাসুলভ) কথা বলে, তখন তারা শান্তিপূর্ণ কথা বলে।’ (সুরা ফুরকান: ৬৩)

আরও পড়ুন: আল্লাহর ওপর যারা তাওয়াক্কুল করে তাদের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহর

অর্থাৎ তারা অজ্ঞদের কটু ও খারাপ আচরণের জবাব মন্দ কথা দিয়ে দেন না; বরং ভদ্র ও বিনয়োচিত ভাষায় দিয়ে থাকেন। এই অপরিহার্য গুণ যখন কেউ অর্জন করে, তখন তার কথাবার্তা, ওঠাবসা, হাঁটাচলায় মার্জিত ভাব আসে।

এ গুণ অর্জনকারীদের সম্মান আল্লাহ বাড়িয়ে দেন। রাসুল (স.) বলেছেন, ‘যে আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে মর্যাদাসিক্ত করেন। তখন সে নিজের চোখে তুচ্ছ হলেও মানুষের চোখে অনেক বড় বিবেচিত হয়।’ (বায়হাকি: ৭৭৯০)

আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক আদমসন্তানের মাথার পেছনে একজন বিশেষ ফেরেশতা থাকেন। তাঁর হাতে থাকে একটি হাকামাহ নামের বিশেষ বস্তু। যখনই বান্দা বিনয় অবলম্বন করে, তখন ওই ফেরেশতাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়, হাকামাহ উঠাও। অর্থাৎ তার মর্যাদা বাড়িয়ে দাও। আর যখনই বান্দা অহংকার করে, তখন বলা হয় হাকামাহ ছেড়ে দাও। অর্থাৎ তাকে অপমানিত করো।’ (সিলসিলাহ সহিহা: ৫৩৫)

আরও পড়ুন: আল্লাহ সহজ-সরল মানুষের জন্য যা বরাদ্দ রেখেছেন

পবিত্র কোরআনে বিনয়ীদের আল্লাহর বন্ধু বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘(হে মুমিনগণ) তোমাদের বন্ধু তো কেবল আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও মুমিনগণ, যারা আল্লাহর সামনে বিনীত হয়ে সালাত আদায় করে ও জাকাত দেয়।’ (সুরা মায়েদা: ৫৫) 

নবীজি (স.) সবচেয়ে বিনয়ী ছিলেন। আল্লাহ তাআলা নবীজির বিনয় সম্পর্কে ঘোষণা দিচ্ছেন ‘আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন। পক্ষান্তরে আপনি যদি রুক্ষ ও কঠোর হৃদয়ের অধিকারী হতেন, তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে দূরে চলে যেত। কাজেই আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন ও তাদের জন্য মাগফিরাত প্রার্থনা করুন এবং তাদের সঙ্গে বিভিন্ন কাজে পরামর্শ করুন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)