images

ইসলাম

আরাফার দিনে রোজা ছাড়াও যে আমল বিশেষ ফজিলতপূর্ণ

ধর্ম ডেস্ক

১৫ জুন ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম

ইসলামের ইতিহাসে আরাফাতের প্রান্তর একটি মর্যাদাপূর্ণ স্থান। এর উত্তর-পূর্ব কোণে জাবালে রহমতে দাঁড়িয়ে মহানবী (স.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। এছাড়া আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) পৃথিবীতে আসার পর এই ময়দানেই পরস্পরকে খুঁজে পেয়েছিলেন। জিলহজের ৯ তারিখ পবিত্র আরাফার দিন। আল্লাহ তাআলা ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান ও গ্রহণযোগ্য দ্বীন ঘোষণা করেছেন এই দিনে। (সুরা মায়েদা: ৩) তাছাড়া ‘আল্লাহর কাছে আরাফাতের দিনের তুলনায় উত্তম কোনো দিন নেই।’ (মাজমাউল জাওয়াইদ: ৩/২৫৬) 

হজের সময় আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল। এটাকেই হজ বলা হয়েছে হাদিসে। এদিন রোজা রাখা মোস্তাহাব এবং এর অনেক ফজিলত রয়েছে। আরাফাতের দিন একটি রোজা রাখলে আল্লাহ বান্দার দুই বছরের পাপ মোচন করেন। রাসুল (স.) বলেন, ‘আরাফার দিনের (৯ জিলহজের) রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা রাখি যে তিনি আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)

আরও পড়ুন: আরাফার রোজা কি ২টি রাখা উত্তম?

এছাড়াও বিশেষ দুই আমল রয়েছে আরাফার দিন। একটি হলো দোয়া করা। আরাফার দিনের দোয়াকে প্রিয়নবী (স.) শ্রেষ্ঠ দোয়া আখ্যা দিয়ে বলেন, শ্রেষ্ঠ দোয়া আরাফাতের দোয়া। দোয়া হিসেবে সর্বোত্তম হলো ওই দোয়া, যা আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীরা করেছেন। তা হলো—‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলক ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়ইন কাদির।’ (অর্থ) আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তাঁর  জন্য, আর তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৮৫)

আরও পড়ুন: এ বছর তাশরিকের দিন শুরু হচ্ছে কবে

এছাড়াও বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়া আরাফার দিনের বিশেষ ফজিলতপূর্ণ আমল। এই দিন সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করে। রাসুল (স.) বলেন, ‘আরাফার দিনের মতো আর কোনোদিন এত বেশি পরিমাণে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয় না। এই দিন আল্লাহ দুনিয়ার নিকটবর্তী হন এবং বান্দাদের নিয়ে ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করেন। আল্লাহ বলেন, কী চায় তারা?’ (মুসলিম: ১৩৪৮)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে আরাফার দিনে উল্লেখিত আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন। আমিন।