images

ইসলাম

তাকবিরে তাশরিক একবার নাকি তিনবার পড়া ওয়াজিব?

ধর্ম ডেস্ক

২৬ মে ২০২৪, ০২:৪০ পিএম

জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজর নামাজের পর থেকে ১৩ তারিখ আছর পর্যন্ত সময়কে তাশরিকের দিন বলা হয়। এই সময়ে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর জামাতের সঙ্গে পড়া হোক বা একাকী, ওয়াক্তের মধ্যে পড়া হোক বা কাজা, নামাজি মুকিম হোক বা মুসাফির, শহরের বাসিন্দা হোক বা গ্রামের—সবার ওপর একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। (দুররে মুখতার: ২/১৮০)

তাকবিরে তাশরিক হলো- ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻛﺒﺮ، ﻻ ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ ﻭﻟﻠﻪ ﺍﻟﺤﻤﺪ উচ্চারণ: ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ অর্থ: ‘আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই। আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।’

তাশরিকের দিনগুলোতে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর পুরুষদের উচ্চৈঃস্বরে একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। আর নারীরা নিচু স্বরে পড়বে, যাতে নিজে শোনে। (শামি: ২/১৭৮)

আরও পড়ুন: ঈদের নামাজের তাকবির ও নিয়ম

তাকবিরে তাশরিক তিনবার বলার কোনো ভিত্তি নেই। সুন্নত মনে করে তিনবার পড়লে মাকরুহ হবে। (ফতোয়ায়ে নাওয়াজেল: ১৪/৫৯৪)

মূলকথা হলো- একবার পড়া ওয়াজিব। অনেক বেশি পড়লেও সমস্যা নেই; বরং সওয়াব হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সংখ্যক তাকবির বলাকে সুন্নত মনে করা ইসলামে অপছন্দনীয়।

ফরজ নামাজের পর তাকবির বলতে ভুলে গেলে, স্মরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকবির পড়ে নেবে। তবে, নামাজের বিপরীত কোনো কাজে লিপ্ত হয়ে গেলে, যেমন কথা বলা, নামাজের স্থান থেকে উঠে পড়া ইত্যাদি হলে তাকবির বলতে হবে না, বরং ওয়াজিব ছুটে যাওয়ার কারণে আল্লাহর কাছে তওবা করবে। (শামি: ৬/১৭৯)

আইয়ামে তাশরিকের কোনো নামাজ কাজা হয়ে গেলে ওই দিনগুলোর মধ্যে তার কাজা আদায় করলে তাকবির বলা ওয়াজিব। কিন্তু এই কাজা পরবর্তী অন্য সময় আদায় করলে বা আইয়ামে তাশরিকের আগের কাজা নামাজ ওই দিনগুলোতে আদায় করলে তাকবির বলা ওয়াজিব নয়। (বাদায়েউস সানায়ে: ১/৪৬৪; হিন্দিয়া: ১/১৫২; আলমুহিতুল বুরহানি: ২/৫১১-৫১৩)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাকবিরে তাশরিকের গুরুত্ব উপলব্ধি করার এবং নির্দিষ্ট সময়ে যথানিয়মে তাকবিরটি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।