images

ইসলাম

তাওয়াফের ৭ চক্করের জন্য কি আলাদা দোয়া আছে?

ধর্ম ডেস্ক

২৩ মে ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম

কাবাঘর তাওয়াফের সময় অনেকে বই হাতে নিয়ে বিভিন্ন দোয়া পড়েন। প্রতিটি চক্করে ভিন্ন ভিন্ন দোয়া পড়েন। কেউ দলবেঁধে এমন কারো সঙ্গে তাওয়াফ করেন যিনি বই দেখে দোয়াগুলো পড়তে পারেন, তখন তাকে অনুকরণ করে দোয়াগুলো যেন পড়া যায়। তারা হয়ত ভাবেন- দোয়াগুলো জরুরি এবং বিশেষ উপকারিতা রয়েছে। আসলে তাওয়াফের সাত চক্করের জন্য এরকম ভিন্ন ভিন্ন কোনো দোয়া নেই। 

তাওয়াফের সময় পড়ার জন্য যে দুয়েকটি দোয়া হাদিস শরিফে এসেছে তা খুবই সংক্ষিপ্ত। 

যেমন— رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ উচ্চারণ: ‘রব্বানা আ-তিনা ফিদ-দুনইয়া হাসানাতাওঁ ওয়াফিল আ-খিরাতি হাসানাতাওঁ ওয়াকিনা আজা-বান্না-র।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এ দুনিয়াতেও আমাদের কল্যাণ দান করুন এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান করুন এবং জাহান্নামের আজাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন।’ (সুরা বাকারা ২০১, মুসনাদে আহমদ: ৩/৪১১), সহিহ ইবনে হিব্বান: ৯/১৩৪), মুস্তাদরাকে হাকেম: ১/৬২৫)

আরও পড়ুন: সাফা-মারওয়া সায়ি করার সময় যে দোয়া পড়বেন

এই কোরআনি দোয়া গোটা তাওয়াফেই করা যায়। বিশেষ করে রুকনে ইয়ামানি ও হজরে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে এই দোয়া করা উচিত। এছাড়া যে দোয়া মুখস্থ থাকে তা তাওয়াফের সময় পাঠ করা যায়। একইভাবে অন্তরে যে হাজত থাকে, তা আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করা যায়। এটাই আল্লাহর কাছে পছন্দনীয়।

ইবনে কুদামা বলেন, ‘তাওয়াফের মধ্যে দোয়া করা, বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করা মোস্তাহাব। কারণ, জিকির করা সবসময় মোস্তাহাব। আর এই ইবাদত পালনকালে তা আরও বেশি উত্তম। এ সময় আল্লাহর জিকির কিংবা কোরআন তেলাওয়াত কিংবা সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেধ অথবা যা না হলে নয়—এমন কিছু ছাড়া অন্যকোনো কথাবার্তা না-বলা মোস্তাহাব। (আল-মুগনি: ৩/১৮৭) 

আলেমরা বলেন, তাওয়াফকারী দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের জন্য যেকোনো দোয়া যেমন, সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়তে পারবে। (মাজমুউল ফতোয়া: ২৪/৩২৭)

হাজি সাহেবরা যদি এই মাসয়ালা অনুধাবন করেন এবং সে অনুযায়ী আমল করেন অনেক ভালো হয়। এতে তাওয়াফের সময় দলবদ্ধতার কারণে অন্য হাজিদেরও কষ্ট হয় না আর উচ্চ আওয়াজে অন্যদের মনসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে না। আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুন। আমিন।