ধর্ম ডেস্ক
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
দিন ও রাত আল্লাহ তাআলারই সৃষ্টির নিদর্শন। দুটিরই মাহাত্ম্য রয়েছে। তবে রাতের তাৎপর্য অনেকটা বেশি। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাতে জাগরণ ইবাদতের জন্য গভীর মনোনিবেশ, হৃদয়ঙ্গম এবং স্পষ্ট উচ্চারণে অনুকূল।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল: ৬)
রাতের ইবাদত আল্লাহ তাআলার কাছাকাছি পৌঁছার অন্যতম মাধ্যম এবং রাতের দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেন। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আমাদের রব প্রত্যেক রাতে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন, যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকে। তিনি বলেন—কে আমাকে আহ্বান করবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব; কে আমার কাছে প্রার্থনা করবে, আমি তাকে প্রদান করব; কে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (সহিহ বুখারি: ১১৪৫)
আরও পড়ুন: যে দোয়া পড়লে জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়
রাত জেগে তাওহিদের সাক্ষ্য দিয়ে দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা ফিরিয়ে দেন না। একটি দোয়ার ব্যাপারে বলা হয়েছে, দোয়টি করার পর ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করেন।
দোয়াটি হলো— لا إلهَ إلاَّ اللَّه وحْدهُ لاَ شَرِيكَ لهُ، لَهُ المُلْكُ، ولَهُ الحمْدُ، وَهُو عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ - سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ للهِ، وَلَا إلَهَ إلّا اللهُ، وَاللهُ أكْبَر وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إلَّا بِالله উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার; ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। অনুবাদ : আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁর জন্যই সকল রাজত্ব ও তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা এবং তিনিই সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী। মহা পবিত্র আল্লাহ। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। নেই কোন ক্ষমতা নেই কোন শক্তি আল্লাহ ব্যতীত’। অতঃপর বলবে- ‘রাব্বিগফিরলি’ অর্থাৎ হে আমার রব আমাকে ক্ষমা করুন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৮৭৮)
আরও পড়ুন: যে দোয়া ১০ বার পড়লে সারাদিন গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখা হয়
উবাদা ইবনুস সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে উক্ত দোয়াটি করে তাকে ক্ষমা করা হয়। রাবি ওলিদ ইবনে মুসলিমের বর্ণনায় আছে, এ দোয়া করলে তার দোয়া কবুল করা হয়। অতঃপর সে উঠে গিয়ে অজু করে নামাজ পড়লে তার নামাজ কবুল করা হয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৮৭৮)
উল্লেখ্য, যে কোনো দোয়ায় হৃদয়ে আল্লাহর ভয় থাকতে হবে। আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের কথা চিন্তা করতে হবে। দোয়া কবুল হওয়ার আশা থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা ভয় ও আশা নিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা কর।’ (সুরা আরাফ: ৫৫)
আল্লাহ তাআলা আমাদের রাতে উল্লেখিত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমা, হেদায়াত ও রহমত ভিক্ষা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।