images

ইসলাম

জুমার দিনে যে পোশাক পরা সুন্নত

ধর্ম ডেস্ক

২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩০ এএম

জুমাবার মুসলমানদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। রাসুল (স.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৮৪) আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৯৮) 

জুমার দিনে বিশেষ কিছু আমলের কথা এসেছে হাদিস শরিফে। এর একটি হলো উত্তম পোশাক পরে জুমার নামাজ আদায় করা। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, তার কাছে থাকা সুন্দরতম জামাটি পরিধান করল এবং সংগ্রহে থাকলে সুগন্ধি ব্যবহার করল, এরপর জুমায় উপস্থিত হলো, কারও কাঁধ ডিঙিয়ে গেল না, তারপর আল্লাহর তাওফিক অনুযায়ী সুন্নত-নফল পড়ল, এরপর খতিব বের হওয়া থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত নীরব থাকল, তার এই নামাজ এ জুমা থেকে সামনের জুমা পর্যন্ত (গুনাহের) কাফফারা হবে।’ (আবু দাউদ: ৩৪৩) 

জুমার দিনে উত্তম পোশাক
রাসুলুল্লাহ (স.) জুমার দিনে উত্তম পোশাক পরিধানে জোর দিয়েছেন। অধিকাংশ মানুষ এক্ষেত্রে উদাসীন। ঈদের নামাজের মতোই জুমার প্রস্তুতি নিতে হয়। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) জুমার দিন মানুষের উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি তাদের বেদুইনদের পোশাক পরিহিত দেখেন। তখন তিনি বলেন, ‘তোমাদের কী হলো? যার সামর্থ্য আছে সে যেন তার কাজকর্মের সময়ে ব্যবহৃত কাপড় দুটি ছাড়া জুমার নামাজের জন্য আরও দুটি কাপড়ের ব্যবস্থা করে।’ (আবু দাউদ: ১০৭৮, ইবনে মাজাহ: ১০৯৬)

আরও পড়ুন: জুমার দিন যেসব আমল করতে বলেছেন নবীজি

রাসুল (স.)-এর সাদা রংয়ের জামা পছন্দের ছিল। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘তোমরা সাদা কাপড় পরিধান করবে। কারণ তা তোমাদের জন্য উত্তম। আর তোমরা সাদা কাপড় দিয়ে মৃতদের দাফন করবে এবং তোমাদের জন্য উত্তম সুরমা হলো ইসমাদ। এতে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পলকে পশম উৎপন্ন করে।’ (আবু দাউদ: ৩৮৩৮) 

উত্তম পোশাকে নামাজ পড়ার ফজিলত
নামাজ মহান ইবাদত। আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎস্বরূপ। এমন ইবাদতের জন্য পোশাক হওয়া চাই যথোপযুক্ত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- يَا بَنِي آدَمَ خُذُوا زِينَتَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ ‘হে আদম সন্তান! প্রত্যেক নামাজের সময় সাজসজ্জা (সুন্দর পোশাক-পরিচ্ছদ) গ্রহণ করো।’ (সুরা আরাফ: ৩১) নতুন ও ভালো জামা না থাকলে পুরনো কাপড় পরাতেও দোষ নেই। তবে তা যেন পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অহংকার আসতে পারে—এমন কাপড় পরিধান করা বাঞ্ছনীয় নয়। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ৫/৩৩৩)