নামাজের মধ্যে পিরিয়ড শুরু হলে করণীয়

হায়েজ বা পিরিয়ড নারীদেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এই দিনগুলোতে ইসলাম নারীকে নামাজ-রোজা থেকে দায়মুক্তি দিয়েছে। পিরিয়ডকালীন নামাজের কাজার বিধান না থাকলেও পরবর্তী সময়ে রোজা কাজা করে নেবে। (আদ্দুররুল মুখতার: ১/৩০০-৩০১)

নামাজ পড়াকালীন সময়ে কোনো নারীর ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড শুরু হলে তার করণীয় বিষয়ে জানতে চান অনেকে। 

এ সম্পর্কে ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো- যে ওয়াক্তের ভেতরই পিরিয়ড শুরু হবে, সেই ওয়াক্তের নামাজ মাফ হয়ে যাবে। অর্থাৎ অজ্ঞাতসারে আদায় করলেও ওই নামাজ মাফ হয়ে যাবে। ওই দিনের ওই ওয়াক্তের নামাজ কাজা করতে হবে না।

আরও পড়ুন: সহবাসের পর গোসল ছাড়া দৈনন্দিন কাজ শুরু করা যাবে?

আর বিশেষ ওজরকালীন সময়ের নামাজ-রোজার সওয়াব থেকে নারীদের বঞ্চিত করা হয় না। সহিহ বুখারিতে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘কেউ অসুস্থ হলে অথবা সফরে থাকলে তেমন সওয়াবই পাবে, যেমনটা সে সুস্থ অবস্থায় বা সফরে না থাকা অবস্থায় পেতো।’ (বুখারি: ২৯৯৬)

নারীদের পিরিয়ড বা অন্য অসুস্থতার ক্ষেত্রে একই বিধান প্রযোজ্য। কারণ, একটি বৈধ কারণেই তারা নামাজ-রোজা রাখতে অপারগ হয়েছেন।

আরও পড়ুন: হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে যে কাফফারা দিতে হবে

ওয়াক্তের একেবারে শেষেও যদি মাসিক শুরু হয় তাহলেও সে ওয়াক্তের নামাজ আদায় না করে থাকলে তা মাফ হয়ে যায়। পরবর্তীতে কাজা করতে হয় না। 

বিশিষ্ট তাবেয়ি ইবরাহিম নাখায়ি (রহ) বলেন, যে ওয়াক্তে নারীর মাসিক শুরু হয় ওই নামাজ কাজা করা তার ওপর আবশ্যক নয়। (কিতাবুল আসল: ১/২৮৬; রদ্দুল মুহতার: ১/২৯১)