ধর্ম ডেস্ক
২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:১৮ পিএম
মা-বাবার জন্য দোয়া করতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার। সুসন্তানরাই কেবল মা-বাবাকে আজীবন মনে রাখেন; আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করেন। এতে নিজেরও অনেক লাভ হয়। পবিত্র কোরআনে ইবরাহিম (আ.)-এর জবানে একটি সুন্দর দোয়ার উল্লেখ রয়েছে। অসংখ্য নেকি লাভের উপায় এই দোয়া। দোয়াটিতে প্রথমে নিজের জন্য, এরপর মা-বাবার জন্য, অতঃপর বিশ্বের সব মুসলিমের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে।
কোরআনুল কারিমে বর্ণিত সেই দোয়াটি হলো— رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ উচ্চারণ: ‘রব্বানাগ-ফিরলী ওয়ালি ওয়ালি-দাইয়্যা ওয়ালিল মু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিছা-ব।’ অর্থ: ‘হে আমাদের রব! আমাকে, আমার মাতা-পিতাকে এবং সব ঈমানদারকে আপনি সেই দিন ক্ষমা করে দিন, যেদিন হিসাব কায়েম করা হবে।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
আরও পড়ুন: মা-বাবার জন্য ৩ দোয়া সবসময় করবেন
আমরা জানি, অন্যের জন্য দোয়া করলে নিজের আমলনামায় সওয়াব যোগ হয়। কেননা রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, প্রত্যেক মুসলমানের বিপরীতে একটি করে সওয়াব মহান আল্লাহ তার আমলনামায় লিখে দেন।’ (তাবরানি: ৩/২৩৪)
কাজেই উল্লেখিত দোয়াটি পড়লে পৃথিবীতে বসবাসকারী কোটি কোটি মুসলিম সবার বিপরীতে একটি করে সওয়াব আমলনামায় লেখা হবে। অবশ্য মৃত ও ভবিষ্যতের মুসলমানরাও এই দোয়ার অন্তর্ভুক্ত। অতীত-বর্তমান বাদ দিলেও দোয়াটির মাধ্যমে বর্তমান মুসলিম জনসংখ্যার বিপরীতে অন্তত ১৯০ কোটি নেকি লাভ হবে, এতে সন্দেহ নেই। উপরের হাদিসটি তার প্রমাণ।
উল্লেখ্য, রমজান মাসে প্রত্যেকটি নেক আমলের মূল্য যেহেতু অন্য সমযের চেয়ে বেশি, আমরা চাইলেই এই বরকতের মৌসুমে দোয়াটি বেশি বেশি পড়ার মাধ্যমে অগণিত সওয়াব লাভ করতে পারি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।