ধর্ম ডেস্ক
২৬ মার্চ ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম
পবিত্র রমজানের ১৫তম দিন শেষ হলো আজ। রাতে এশার নামাজের পর পড়া হবে ১৬তম তারাবি। রমজান মাসের অন্যতম আমল হলো কোরআনুল কারিম খতমের মাধ্যমে তারাবি নামাজ আদায়। ইসলামি ফাউন্ডেশন নির্ধারিত ১৬তম তারাবিতে দেশের প্রায় সব মসজিদে আজ পড়া হবে সুরা ফোরকানের ২১ নম্বর আয়াত থেকে সুরা নমল ৫৯ আয়াত আয়াত পর্যন্ত। পারা হিসেবে আজ পড়া হবে ১৯তম পারা।
চলুন একনজরে দেখে নিই- আজকের খতম তারাবিতে কী তেলাওয়াত করা হবে।
সুরা ফোরকান, আয়াত ২১-৪৪
বলা হয়েছে, সত্য অস্বীকারকারীরা অহংকারের বশবর্তী হয়ে যেভাবে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলকে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ করে, তা একদিন বাস্তবায়িত হবেই। তখন তাদের আজাব থেকে কে বাঁচাবে? এরপর বিভিন্ন নবীর নাম নিয়ে তাদের দাওয়াতি কৌশল উল্লেখ করা হয়েছে।
সুরা ফোরকান, আয়াত ৪৫-৭৭
সুরা ফোরকানের এই অংশে প্রথমে নবীজি (স.)-কে, পরে তাঁর সব উম্মতকে উদ্দেশ করে বিভিন্ন নসিহত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রহমানের বান্দা তারাই যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞ লোকেরা যখন তাদেরকে সম্বোধন করে তখন তারা বলে ‘সালাম’।
আরও পড়ুন: ১৫তম তারাবিতে যা পড়া হবে
সুরা শুআরা, আয়াত ১-৬৮
অবিশ্বাসীদের প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে। কোরআন না মানার পেছনে কাফেরদের প্রশ্নের যুক্তিপূর্ণ জবাব দিয়েই পূর্ববর্তী নবীদের উদাহরণ টানা হয়েছে। প্রথমেই হজরত মুসা (আ.) এর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
সুরা শুআরা, আয়াত ৬৯-১৯১
ক্রমান্বয়ে অন্য নবীদের জীবন থেকে তাদের দাওয়াতি মিশনের কার্যক্রম কী ছিল তা বলা হয়েছে বিস্তারিতভাবে। উদ্দেশ্য একটাই। যুগে যুগে কাফেরদের আচরণ-বৈশিষ্ট্য এক ও অভিন্ন ছিল। সুরা শুআরার এই অংশে তাকওয়া অবলম্বন ও আল্লাহর আনুগত্যের বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৪তম তারাবিতে যা পড়া হবে
সুরা শুআরা, আয়াত ৯২-২২৭
কাফেররা কোরআন সম্পর্কে সন্দেহ-অবিশ্বাস করছে। আসলে এটা কাফের সম্প্রদায়ের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বৈশিষ্ট্য। প্রকৃতপক্ষে এ কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল করা হয়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই নবী হে! তুমি তোমার দায়িত্ব পালন করে যাও। মানুষকে সতর্ক করতে থাক। বিশ্বাসীদের জন্য উত্তম প্রতিদান রয়েছে—এভাবেই সুরা শেষ করা হয়েছে।
সুরা নামল, আয়াত ১-৪৪
আগের সুরার মতো এ সুরাও শুরু করা হয়েছে অবিশ্বাসীদের আলোচনা দিয়ে। যারা আল্লাহ এবং তার কিতাবের ওপর বিশ্বাস রাখে না তাদের জন্য কত কঠিন আজাব রয়েছে তা বলেই মুসা এবং তার শত্রু ফেরাউনের আলোচনা করা হয়েছে। এরপর হজরত দাউদ, সোলায়মান (আ.) এবং রানি বিলকিসের ঘটনা বলা হয়েছে। কীভাবে একটি সাম্রাজ্যকে দাওয়াতের মাধ্যমে পরিবর্তন করা হয়েছে তা বোঝানোই ছিল মূল উদ্দেশ্য।
সুরা নামল, আয়াত ৪৫-৫৯
হজরত সালেহ এবং কওমে লুতের আলোচনা করা হয়েছে। এ দুই সম্প্রদায় কত বড় নাফরমান ছিল তা বলাই মূল উদ্দেশ্য। এরপর আল্লাহ তাআলা কাফেরদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে আবার নিজেই তার জবাব দিয়েছেন। এভাবেই আলোচনা সামনে এগিয়ে নেওয়া হয়েছে।