ধর্ম ডেস্ক
১৩ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
দোয়া ইবাদতের মূল। দোয়া ছাড়া ইবাদত অসম্পূর্ণ থাকে। যেকোনো সময় যেকোনো দোয়া পড়া যায়। তবে বিশেষ সময়গুলোতে উপযুক্ত দোয়া পড়া সুন্নত। আমরা জানি- রমজানের প্রথম ১০ দিন রহমতের। হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (স.) শাবান মাসের শেষ দিন আমাদের মাঝে খতিব হিসেবে দাঁড়ালেন, বললেন (মাহে রমজান) এমন একটি মাস যার প্রথম ভাগ রহমত, মধ্যবর্তী ভাগ মাগফেরাত বা ক্ষমা আর শেষভাগে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। অর্থাৎ রমজান মাসের ৩০ দিনের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাতের এবং তৃতীয় ১০ দিন নাজাতের। (সহিহ ইবনে খুজাইমা: ১৮৮৭)
হাদিসে রমজানের প্রথম ১০ দিনকে রহমতের দশক বলা হয়েছে। হাদিস বিশারদগণ এই ‘রহমত’ শব্দের ব্যাখ্যা করে বলেছেন, মূলত রমজানের প্রথম দশকে মুমিন বান্দাদের মাঝে আল্লাহ তাআলা রহমত ও দয়া বণ্টন করতে থাকেন।
তাই এই দশকে আল্লাহর রহমত চেয়ে দোয়া করা উত্তম। যদিও অন্য যেকোনো দোয়া করতেও নিষেধ নেই। বরং যেকোনো দোয়া যত বেশি করা যায় ততই ভালো।
পবিত্র রমজানের প্রথম দশকে আমরা কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া বেশি বেশি পাঠ করতে পারি। দোয়াটি হলো- وَقُل رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ উচ্চারণ: ‘ওয়া কুর রব্বিগফির ওয়ার হাম ওয়া আনতা খইরুর র-হিমীন।’ অর্থ: ‘আর বলুন, হে আমার রব! ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, আর আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সুরা মুমিনুন: ১১৮)
আরও পড়ুন: রমজানের যে ৩ সময় দোয়া করলেই কবুল
অথবা এই দোয়াটিও পড়তে পারেন— رَبَّنَاۤ اٰتِنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ رَحۡمَۃً وَّ هَیِّیٴۡ لَنَا مِنۡ اَمۡرِنَا رَشَدًا উচ্চারণ: রব্বানা আ-তিনা মিল্লাদুনকা রহমাহ, ওয়াহায়্যি’লানা মিন আমরিনা রশাদা।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাদের অনুগ্রহ দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করুন।’ (সুরা কাহফ: ১০)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মহিমান্বিত মাস রমজানকে কাজে লাগানোর তাওফিক দান করুন। উল্লেখিত দোয়া দুটি রহমতের দশকে বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।