ঢাকা মেইল ডেস্ক
১২ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪২ এএম
বছর ঘুরে আবারও রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে মাহে রমজান। এটি কোরআন নাজিলের মাস, আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাস। ক্ষমাপ্রাপ্তির মাস রমজান, নেকির পাল্লা ভারী করার মাস হচ্ছে রমজান।
এই মাসের প্রধান আমল হলো ফরজ রোজা। রোজা শব্দটি ফার্সি, যার অর্থ ‘বিরত থাকা’। আরবিতে বলা হয় সিয়াম, অর্থ ‘বিরত থাকা’, ‘আত্মসংযম করা’ ইত্যাদি। পরিভাষায়; সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য পানাহার, দাম্পত্য মিলন ও রোজা ভঙ্গ হওয়ার সকল বিষয় থেকে বিরত থাকার নামই সিয়াম।
আরবি ‘রামাদ’ শব্দ থেকে এই মাসের নাম এসেছে। যার অর্থ ‘তপ্ত’ বা ‘শুষ্কতা’। গ্রীষ্মকালেই প্রথম রমজান মাস পালিত হয়েছিল, সে জন্যই এমন নামকরণ করা হয়েছে। নামকরণের আরেকটি প্রতীকী কারণ হচ্ছে, গ্রীষ্মের সূর্য যেমন পৃথিবীকে দগ্ধ করে, তেমনি এই মাস সব পাপকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলিমের দোয়া কবুল করা হয়।’ (মুসনাদ আহমদ)।
জান্নাতের সুসংবাদ নিয়ে রমজান মাসের আগমন হয়। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানসহ সওয়াবের নিয়তে রমজানে রোজা পালন করে, তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’
‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত সওয়াবের আশায় রমজানে রাত জেগে ইবাদত করে, তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’
‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে জেগে ইবাদত করবে, তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি, প্রথম খণ্ড, হাদিস: ৩৭, ৩৬ ও ৩৪)।
আরও পড়ুন
চাঁদ দেখা গেছে, রোজা শুরু কাল
রজব ও শাবান দুই মাসব্যাপী আমরা দোয়া করে আসছি, ‘হে আল্লাহ, রজব ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং রমজান আমাদের নসিব করুন!’ এই প্রার্থনা কবুল হলো। তাই সবাই বলছি ‘আহলান সাহলান মাহে রমজান, স্বাগত রমজান মাস’।
রমজান মাসে ফরজ ও ওয়াজিব
রমজান মাসে একটি ফরজ, পূর্ণ এক মাস রোজা পালন করা। রমজানের সঙ্গে সম্পৃক্ত দুটি ওয়াজিব, যথা: সদকাতুল ফিতর প্রদান করা এবং ঈদের নামাজ আদায় করা। রমজানের বিশেষ সুন্নাতগুলো হলো রজব মাস ও শাবান মাস বরকতের জন্য এবং রমজানপ্রাপ্তির জন্য দোয়া করতে থাকা;
রজব ও শাবান মাস থেকে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করা, রজব ও শাবান মাসে অধিক পরিমাণে নফল রোজা রাখা ও নফল নামাজ আদায় করা, শাবান মাসের চাঁদের তারিখের হিসাব রাখা; রমজানের চাঁদ দেখা; সাহ্রি খাওয়া, তাহাজ্জত নামাজ আদায় করা, ইফতার করা ও করানো, ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ আদায় করা, কোরআন কারিম বেশি বেশি তিলাওয়াত করা এবং ইতিকাফ করা; রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোয় শবে কদর সন্ধান করা এবং ঈদের জন্য শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা।
তারাবিহ নামাজ
তারাবিহ নামাজ রমজানের বিশেষ আমল। পুরুষদের তারাবিহর নামাজ মসজিদে জামাতে আদায় করা সুন্নাত। ওজরের কারণে মসজিদে যাওয়া সম্ভবপর না হলে এবং জামাত করা না গেলে তখন একা পড়লেও পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে। অনুরূপ পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজও বিশেষ অবস্থায় একাকী আদায় করা যাবে। এতেও পরিপূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে।
এইউ