images

ইসলাম

শবে বরাতে হিংসামুক্ত মানুষের জন্য সুসংবাদ

ধর্ম ডেস্ক

২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম

শবে বরাতের অল্প ক’দিন বাকি। ফেব্রুয়ারির ২৫ তারিখ দিবাগত রাতে (শাবানের ১৫তম রাতে) আমাদের দেশে শবে বরাত পালিত হবে। মুসলমানদের কাছে এই রাত অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ। আরবি পরিভাষায় একে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বা অর্ধ শাবানের রাত বলা হয়। এই রাতের ফজিলত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। 

শবে বরাতে হিংসামুক্ত মানুষের জন্য নবীজির সুসংবাদ রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে আল্লাহ তাআলা সমগ্র সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও হিংসুক লোক ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৩৯০; সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫)

আরও পড়ুন: শবে বরাতে ৬টি দোয়া করতে ভুলবেন না

হাদিসবিশারদদের মতে, হাদিসটির মান সহিহ তথা বিশুদ্ধ। এজন্যই ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ.) তাঁর প্রসিদ্ধ হাদিসের কিতাব ‘কিতাবুস সহিহ’-এ সেটি উল্লেখ করেছেন। হাদিসে দেখা যাচ্ছে, মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারীরা শবে বরাতের মতো মহান রাতেও আল্লাহর ক্ষমা থেকে বঞ্চিত হবে। এর অর্থ হলো- শিরকমুক্ত ও হিংসা-বিদ্বেষমুক্ত মুমিনরা শবে বরাতে আল্লাহর ক্ষমা লাভ করবেন ইনশা আল্লাহ।

শবে বরাত ফারসি শব্দ। ‘শব’ অর্থ রাত, ‘বরাত’ অর্থ নাজাত বা মুক্তি। এই দুই শব্দ মিলে অর্থ হয় মুক্তির রজনী। শবে বরাতে আল্লাহ তাআলা অনুগত বান্দাদের ক্ষমা করে দেন—তাই রাতটি মুক্তির রজনী নামে খ্যাত।

মুক্তির এই রজনীতে তাওবা-ইস্তেগফারের মাধ্যমে নিজেকে বিশুদ্ধচিত্তে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশুদ্ধ মতানুযায়ী, এই রাতে জামাতে ফরজ নামাজ এবং নফল নামাজ যত সম্ভব একাকীভাবে ঘরে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। নফল নামাজে দীর্ঘ তেলাওয়াত ও দীর্ঘ সেজদা করা নবীজির পছন্দনীয় আমল। (শুয়াবুল ঈমান, বায়হাকি: ৩৫৫৪, তুহফাতুল আহওয়াজি: ৩/৩৬৭)

আরও পড়ুন: শবে বরাতে নবীজি যে আমল করতেন

শবে বরাতে কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, জিকির, সালাতুত তাসবিহ, তাহাজ্জুদ-ইত্যাদি ইবাদত করা যাবে। মৃত্যুর স্মরণে একাকী কবর জিয়ারত এবং মৃত ব্যক্তিদের মাগফিরাত কামনা করাও সুন্নাহসমর্থিত আমল। শবে বরাতের পরদিন রোজা রাখা সুন্নত। তবে আইয়ামে বিজের তিনটি রোজা (শাবানের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রাখা উত্তম।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে শবে বরাতে হিংসামুক্ত অন্তর নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হওয়ার তাওফিক দান করুন। সুন্নাহসমর্থিত আমল করার তাওফিক দান করুন এবং আমাদের আমলগুলো কবুল করুন। আমিন।