images

ইসলাম

কোরআন পড়ে গেলে কি আড়াই কেজি চাল দিতে হয়?

ধর্ম ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫২ পিএম

পবিত্র কোরআন আল্লাহ তাআলার কালাম। রাসুলুল্লাহ (স.)-এর ওপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মোজেজা। পবিত্র কোরআনের চেয়ে দামী ও মর্যাদাপূর্ণ কোনোকিছু পৃথিবীতে নেই। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে এই কোরআন মহাসম্মানিত। কিতাব আকারে (লিখিত) সংরক্ষিত। পবিত্রগণ ছাড়া আর কেউ এটি স্পর্শ করে না। বিশ্বজাহানের রবের পক্ষ থেকে নাজিলকৃত। (সুরা ওয়াকেয়া: ৭৭-৮০)

তাই কোরআনুল কারিমের মর্যাদা রক্ষা করা এবং এর যথাযথ সম্মান দেওয়া জরুরি। সতর্ক থাকতে হবে যেন কোনোভাবেই পবিত্র কোরআনের অসম্মান না হয়। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে হাত থেকে কোরআন মাজিদ পড়ে গেলে করণীয় কী—জানতে চান অনেকে।

এ বিষয়ে আলেমদের পরামর্শ হলো- সাবধানতা অবলম্বনের পরও অনাকাঙিক্ষতভাবে কোরআন মাজিদ হাত থেকে পড়ে গেলে ইস্তেগফার করা উচিত এবং অনুতপ্ত হয়ে ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন’ পড়া উচিত।

আরও পড়ুন: বিপদ-মসিবতে ‘ইন্নালিল্লাহ’ পড়ার ফজিলত

কিছু মানুষের ধারণা- হাত থেকে কোরআন মাজিদ পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল সদকা করতে হবে, অন্যথায় কোরআনের প্রতি অসম্মান হবে এবং বড় গুনাহ হবে। আবার অনেক জায়গায় প্রচলিত আছে যে, কোরআনকে ওজন করে ওই পরিমাণ চাল সদকা করতে হবে।

এসব কুসংস্কার মাত্র। এরকম কোনো বর্ণনা কোরআন-হাদিসের কোথাও নেই। কোরআনের প্রতি ভালোবাসার কারণে হলেও এসব ভুল প্রচলন। এছাড়াও এখানে আরেকটি আপত্তিকর ও অসম্মানের বিষয় হলো- কোরআন মাজিদ (মুসহাফ) ওজন করা। পবিত্র কোরআনকে সম্মান করতে গিয়ে এরকম অসম্মানজনক ও মনগড়া পন্থা অবলম্বন করা মুমিনদের জন্য শোভনীয় নয়।

আরও পড়ুন: পরকালে ১০ শ্রেণির মানুষের ভয়-চিন্তা নেই

তবে সবসময় সাবধান থাকতে হবে যাতে কোরআন পড়ে না যায়। এমনভাবে ধরব না বা এমন স্থানে রাখব না, যার কারণে তা পড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। এরপরও অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পড়ে গেলে ইস্তেগফারের পাশাপাশি কেউ চাইলে এমনিতে কিছু সদকা করতে পারে। এতে সমস্যা নেই। কিন্তু ওটাকে ইসলামি বিধান অথবা সুন্নত আমল মনে করা যাবে না।

পবিত্র কোরআনের প্রতি ভালোবাসা থাকা ঈমানি বৈশিষ্ট্য। কিন্তু এ ভালোবাসা প্রকাশ করতে হবে শরিয়ত নির্দেশিত পন্থায়। মূলত পবিত্র কোরআনের প্রতি আসল ভালোবাসা হলো- বেশি বেশি তেলাওয়াত করা, এর ইলম হাসিল করা এবং এর নির্দেশিত পন্থায় জীবন পরিচালনা করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।