images

ইসলাম

মৃত্যুর সময় কালেমা পড়া সহজ হয় যে আমলে

ধর্ম ডেস্ক

০৫ নভেম্বর ২০২৩, ০১:১৫ পিএম

পরকালের প্রথমধাপ মৃত্যু। যে ব্যক্তি মৃত্যুর সময় আল্লাহর ওপর ঈমান রাখবে, মুখে কালেমা উচ্চারণের সঙ্গে মৃত্যুমুখে পতিত হবে তার অনন্তকালীন জীবন হবে সুখের। হাদিস অনুযায়ী, তার আবাসস্থল হবে চিরস্থায়ী জান্নাত। মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) বলেন, একবার আল্লাহর রাসুল (স.) আমাদের বলেন, যার সর্বশেষ বাক্য হবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (আবু দাউদ: ৩১১৬)

কিন্তু মৃত্যুর সময় কালেমা পড়ার সৌভাগ্য সবার হয় না। সেজন্য অবশ্যই প্রথমে মুমিন হতে হবে। সঙ্গে কিছু আমলের কথা জানিয়েছেন প্রিয়নবী (স.)। এর অন্যতম হলো মেসওয়াক করা। আল্লামা ইবনে আবেদিন (রহ) বলেছেন, ‘মেসওয়াকের উপকারিতা সত্তরেরও অধিক। তন্মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র উপকার হচ্ছে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় আর সর্বোচ্চ উপকার হচ্ছে মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হয়।’ (ফতোয়ায়ে শামি: ১/২৩৯)

miswak

আরও পড়ুন: আল্লাহর রহমতের মধ্যে ডুবে থাকার আমল

মেসওয়াক করা আল্লাহর রাসুলের অত্যন্ত পছন্দনীয় আমল ছিল। মৃত্যুর সময়ও তিনি এই আমল ছাড়েননি। জীবনের অন্তিম সময়ে যখন তিনি মেসওয়াক করতে পারছিলেন না তখন আয়েশা (রা.) নিজ থেকে মেসওয়াক চিবিয়ে রাসুল (স.)-এর মুখে তুলে দিচ্ছিলেন। আর রাসুল (স.) তা দিয়ে মেসওয়াক করেছিলেন।

মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেন, যখনই জিব্রাইল (আ.) আমার কাছে আসতেন, তখনই আমাকে মেসওয়াকের নির্দেশ দিতেন। এতে আমি আশঙ্কাবোধ করলাম যে (মেসওয়াক করে) আমি আমার মুখের সম্মুখ দিক ক্ষয় করে ফেলব। (মুসনাদ আহমদ: ২২২৬৯)

আরও পড়ুন: মহান আল্লাহর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ার ১৭ আমল

নবীজি উম্মতের জন্য এই আমলটি আবশ্যকীয় করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু শুধু কষ্টের কথা ভেবে তা করেননি। এ সম্পর্কে এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যদি আমি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম, তবে অবশ্যই প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।’ (মেশকাত: ৩৪৬)

নবীজি (স.) আরও বলেছেন, নবী-রাসুলদের সুন্নত চারটি— ১. লজ্জা করা, অন্য বর্ণনায় খতনা করা, ২. সুগন্ধি ব্যবহার করা, ৩. মেসওয়াক করা, ৪. বিয়ে করা (তিরমিজি: ৩৫১)

আরেক হাদিসে মেসওয়াক করাকে আল্লাহর রাসুলের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম বলা হয়েছে। হাদিসটি হলো— ‘মেসওয়াক হলো মুখ পরিষ্কার করার উপকরণ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায়।’ (আহমদ, নাসায়ি, মেশকাত: ৩৫০) 

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব করুন। মেসওয়াকে অভ্যস্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।