ধর্ম ডেস্ক
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০২ পিএম
জানাজার মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির পরকালীন জীবনের কল্যাণ কামনা করা হয়। আল্লাহর দরবারে মুমিনের এই সুপারিশের বিশেষ মূল্য আছে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘কোনো মুসলিম মারা গেলে, তার জানাজায় যদি এমন ৪০ জন দাঁড়িয়ে যায়, যারা আল্লাহর সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক করে না, মহান আল্লাহর তার অনুকূলে তাদের প্রার্থনা কবুল করেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২০৮৮)
জানাজার নামাজ ফরজে কেফায়া তথা সামগ্রিক ফরজ। যদি সমাজের একদল মানুষ মৃত ব্যক্তির জানাজা আদায় করে, তবে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে। আর কেউ তা আদায় না করলে সবাই গুনাহগার হবে। ইসলামে জানাজার নামাজ হলো জীবিতদের ওপর মৃতের অধিকার। (মুসলিম: ২১৬২)
আরও পড়ুন: জানাজার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত
প্রশ্ন- জানাজার নামাজ পড়ানোর জন্য বেশি হকদার কে? এর উত্তর হলো- মৃত ব্যক্তির জানাজার নামাজে কারা উপস্থিত থাকছেন সেটা লক্ষণীয়। মৃতের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার ইমাম—উভয়ে-ই যদি উপস্থিত থাকেন, আর ইমাম ইলম ও আমলে মৃতের আত্মীয়ের চেয়ে বেশি যোগ্য হন, তাহলে জানাজার নামাজ পড়ানোর বেশি হকদার ওই ইমাম।
প্রখ্যাত তাবেয়ি ইবরাহিম আন-নাখায়ি (রহ.) বলেন, ‘জানাজার নামাজ পড়াবে মসজিদের ইমামরা। তোমরা তাদের পেছনে ফরজ নামাজ পড়তে রাজি। কিন্তু জানাজা পড়তে রাজি না (এটা কেমন কথা)! (কিতাবুল আসার: ২৩৭)
অন্য বর্ণনায় তাবেয়ি সালেম (রহ.), তাউস (রহ.), কায়েস (রহ.), মুজাহিদ (রহ.) ও আতা (রহ.) প্রমুখ আলেমগণ ইমাম সাহেবকে জানাজা পড়ানোর জন্য আগে বাড়িয়ে দিতেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ১১৪৩২)
আরও পড়ুন: জানাজার নামাজ পড়ার নিয়ম
পক্ষান্তরে মৃতের আত্মীয়রা যদি এলাকার ইমাম থেকে বেশি যোগ্য ও বড় আলেম হন, তাহলে অবশ্যই তারা বেশি হকদার। (তথ্যসূত্র: বাহরুর রায়েক: ২/১৮০; দুররুল মুখতার: ২/২১৯; কিতাবুল আছল: ১/৩৪৯; খুলাসাতুল ফতোয়া: ১/২২২; ফতোয়া হিন্দিয়া: ১/১৬৩)