ধর্ম ডেস্ক
১০ আগস্ট ২০২৩, ০২:২১ পিএম
সবচেয়ে বড় গুনাহের নাম শিরক। এই গুনাহকে পবিত্র কোরআনে সবচেয়ে বড় জুলুম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর সঙ্গে শরিক করো না। নিশ্চয়ই শিরক অতি বড় জুলুম।’ (সুরা লোকমান: ১৩)
শিরক থেকে বেঁচে থাকার অনেক ফজিলত রয়েছে। মহান আল্লাহ তাদের নিরাপত্তা দেন, হেদায়াত করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং তাদের ঈমানের সঙ্গে জুলুমের (শিরকের) সংমিশ্রণ ঘটায়নি তাদের জন্যই নিরাপত্তা এবং তারা সৎপথপ্রাপ্ত।’ (সুরা আনআম: ৮২)
জীবনে যারা শিরক থেকে বেঁচে থেকেছেন, তারাই জান্নাতে যাওয়ার হকদার। রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করে যে সে তাঁর সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক করেনি, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (সহিহ মুসলিম: ২৮০)
শিরকমুক্ত জীবন আল্লাহ খুব পছন্দ করেন। তিনি তাদের ক্ষমা না করে পারেন না। আনাস (রা.) বলেন, আমি রাসুল (স.)-কে বলতে শুনেছি, ‘মহান আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি যতদিন পর্যন্ত আমার কাছে দোয়া করতে থাকবে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে, আমি ততদিন তোমার গুনাহ মাফ করতে থাকব, তুমি যা-ই করে থাকো আমি সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করব না। হে আদম সন্তান! তোমার গুনাহ যদি আকাশের উচ্চতা পর্যন্তও পৌঁছে যায়, অতঃপর তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাও, তবুও আমি তোমাকে ক্ষমা করব, আমি সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করব না। হে আদম সন্তান! তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়ে আমার কাছে আসো এবং আমার সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক না করে থাকো, তাহলে আমিও সমপরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার কাছে আসব।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৪০)
এই হাদিসটি বড় প্রমাণ যে, শিরক থেকে বেঁচে থাকলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমার বান্দাদের জানিয়ে দিন, আমি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।’ (সুরা হিজর: ৪৯)
আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও, নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাকারী ও অতিশয় দয়ালু।’ (সুরা নিসা: ১০৬)
বোঝাই যাচ্ছে, শিরকমুক্ত জীবন নিয়ে আল্লাহর কাছে তাওবা-ইস্তেগফার করলে তিনি ক্ষমা করে দেন। এমনকি কখনও তিনি বান্দার গুনাহগুলোকে সওয়াবে পরিণত করে দেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কিন্তু যারা তাওবা করে, বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গুনাহসমূহকে নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দিবেন। (সুরা ফুরকান: ৭০)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শিরক থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।