images

ইসলাম

কাবাপ্রাঙ্গণে ঈদের জামাত, হাজিদের ব্যাপারে যা বললেন শায়খ ইয়াসির 

ধর্ম ডেস্ক

২৮ জুন ২০২৩, ০৩:৫৫ পিএম

আজ সৌদি আরবে ১০ জিলহজ তথা ঈদুল আজহার দিন। এদিন মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পবিত্র মসজিদুল হারামে ইমাম ছিলেন শায়খ ড. ইয়াসির আল-দাওসারি এবং পবিত্র মসজিদে নববিতে ইমাম ছিলেন শায়খ ড. হুসাইন বিন আবদুল আজিজ আলে শেখ। নামাজের পর খুতবায় তারা ঈদের তাৎপর্য, কোরবানির বিধান ও হজের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। 

শায়খ ড. ইয়াসির আল-দাওসারি বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বায়তুল্লায় আগত হাজিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে হাজিরা গতকাল আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেছেন এবং মুজাদালিফায় রাত্রি যাপন করেছেন। এরপর মিনায় গিয়ে পাথর নিক্ষেপ করেছেন।

আজ পবিত্র ঈদের দিনে তারা অনেক কাজ সম্পন্ন করবেন। তিনটি জামরায় পাথর নিক্ষেপ করবেন, কোরবানি করবেন, মুথার চুল কাটবেন, কাবাঘর তাওয়াফ করবন এবং সাফা ও মারওয়া পাহাড় সায়ি করবেন। আল্লাহ হাজিদের এসব আমল কবুল করুন।
 
এ সময় শায়খ ইয়াসির হজের শিক্ষা প্রসঙ্গে বলেন, হজ একজন মুসলিমকে ইসলামের সব স্তম্ভের সঙ্গে নতুনভাবে পরিচিত করে তুলে। এর মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাতের সার্বিক কল্যাণ রয়েছে। বিদায় হজের ভাষণে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহকে তোমাদের রব হিসেবে ভয় করো। তোমাদের মাসে রোজা রাখো।

তোমাদের সম্পদের জাকাত আদায় করো। তোমাদের মধ্যে দায়িত্বশীলদের আনুগত্য কোরো। তাহলে তোমাদের রবের জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।’ 

তিনি আরো বলেন, পবিত্র হজ মুসলিমদের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠা করে এবং সবাইকে এক কাতারে এনে দেয়। মানুষের মুখের ভাষা, গায়ের রঙ, স্থানগত পার্থক্যের পরও সবাই একসঙ্গে এক স্থানে সমবেত হয়। এর মাধ্যমে ইসলামের বৈশ্বিক প্রভাব ও এক আল্লাহর দাসত্বের চিত্র ফুটে উঠে। 

উল্লেখ্য, গতকাল আরাফাতের ময়দানে মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দিয়েছেন সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ ইউসুফ বিন মুহাম্মদ। খুতবায় তিনি সমবেত মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার, তাওহিদের পথে অটল থাকার এবং তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাতের সাফল্য অর্জনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।