images

প্রবাস

কাতারে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

প্রবাস ডেস্ক

১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম

কাতারে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবসের ৫৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে স্থানীয় উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ, রাষ্ট্রদূত এবং কূটনীতিকদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাস।

গত বুধবার (৯ এপ্রিল ২০২৫) কাতারের রাজধানী দোহার শেরাটন হোটেল আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাতারের ধর্ম মন্ত্রী এইচ. ই গানেম বিন শাহীন বিন ঘানেম আল ঘানিম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর অব প্রটোকল রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ইউসুফ আবদুল্লাহ ফখরু এবং কূটনৈতিক কোরের ডিন ও ইরিত্রিয়ার রাষ্ট্রদূত আলী ইব্রাহিম আহমেদ প্রমুখ।

কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ, কাতারের উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ, দেশি ও বিদেশি সাংবাদিকগণ এবং বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়ীসহ কাতার বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা।

কাতার ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কেক কাটার অনুষ্ঠানে সম্মানিত প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করেন।

রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধকালীন সকল শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে শক্তিশালী সমর্থন যুগিয়েছিলেন। তিনি উন্নয়ন, কূটনীতি, ক্রীড়া, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে কাতারের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। কাতার ইতোমধ্যে ক্রীড়া কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফিফা বিশ্বকাপ-২০২২ সফলতার সঙ্গে আয়োজনে কাতারের প্রশংসা করেন। অতঃপর কাতারে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তার জন্য রাষ্ট্রদূত কাতারের মহামান্য আমির এবং কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

Qatar2

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, কাতারের সাথে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, জ্বালানি ও খেলাধুলার ক্ষেত্রে বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক এবং সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে নতুন করে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন কাতার সফরের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন।

তিনি ছাত্র/জনতার নেতৃত্বাধীন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রাসঙ্গিকতা আলোচনাকালে বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করতে ও একটি বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গৃহীত সংস্কার কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পণ্য সামগ্রীর দৃষ্টিনন্দন প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করা হয়। পরিশেষে নৈশভোজে অতিথিবৃন্দকে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় বিভিন্ন খাবার পরিবেশন করা হয়।

জেবি