১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট সেবা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে বিপত্তি। সোমবার (১৮ নভেম্বর) কুয়ালালামপুরের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এক্সপার্ট সার্ভিসেস লিমিটেডে (ইএসকেএল) ১ হাজারেরও বেশি প্রবাসী ই-পাসপোর্টের সেবা নিতে এসে নিরাপত্তাকর্মীর লাঠিপেটার শিকার হন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রবাসীরা একত্র হয়ে প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন।
কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ জানান, দূতাবাস বিষয়টি নজরে নিয়েছে এবং ঘটনাটি তদন্ত করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসী জানিয়েছেন, তিনি পেনাং প্রদেশ থেকে পাসপোর্টের সেবা নিতে কুয়ালালামপুর এসেছেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বাসা থেকে বের হয়ে রাতে ইএসকেএল অফিসে পৌঁছান। সারারাত না ঘুমিয়ে সকালে ই-পাসপোর্টের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। কিন্তু সকাল ১০টার দিকে, যখন ভিড় বাড়তে থাকে, তখন সিকিউরিটি কর্মীরা প্রবাসীদের মারধর করতে শুরু করেন। এতে ভীত হয়ে প্রবাসীরা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকেন।
এই ঘটনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইএসকেএলের পরিচালক (মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং) আরমান পারভেজ মুরাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
প্রবাসী কমিউনিটির নেতা মাঝি মিরাজ বলেন, “দূতাবাসের পরিবর্তে ইএসকেএলকে পাসপোর্ট ও ট্রাভেল পাস প্রসেসিংয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে প্রবাসীরা আরও বেশি সমস্যায় পড়ছেন। তিনি আরও বলেন, পাসপোর্ট নবায়নের দায়িত্ব ইএসকেএলকে দেওয়ার ফলে প্রবাসীদের ব্যক্তিগত তথ্য থার্ড পার্টির কাছে ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
এদিকে, ১৯ অক্টোবর কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের ফেসবুক পেজে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যেখানে বলা হয় যে, এমআরপি পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় ফয়েল পেপার শেষ হয়ে গেছে এবং সবার ই-পাসপোর্ট করতে হবে। তবে ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে হলে, প্রবাসীদের অবশ্যই এমআরপি পাসপোর্টের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন কার্ডের তথ্য মিলিয়ে দেখতে হবে। কিন্তু ৭০-৮০% প্রবাসীর তথ্যের গরমিল থাকায়, তারা আবেদন করতে পারছেন না এবং এতে তাদের ভোগান্তি বাড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটি এবং ভুক্তভোগীরা দ্রুত এই পাসপোর্ট সেবা ভোগান্তি সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
এইউ