ঢাকা মেইল ডেস্ক
১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। রিপাবলিকান দল থেকে তার বিজয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক কোনদিকে মোড় নিতে যাচ্ছে? এর উত্তর পেতে চান বাংলাদেশের মানুষ। বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ আছে, সারা বিশ্বের প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও। বিশেষ করে যারা খোদ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, তারা ভোটের আগে থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের লড়াই নিয়ে আলোচনা যেমন করেছেন, তেমনি তাদের অনেকে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে জানতে আগ্রহী ছিলেন।
এমন অনেকেই কিন্তু চোখ রেখেছেন ঠিকানা টিভিতে। কারণ ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বর দুই ঘন্টা করে দীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠান ছিলো এখানে। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক এই গণমাধ্যমে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পুঙ্খানুপুঙ্খ ও ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির ভাবনার খোরাক সামনে নিয়ে এসেছে দর্শকদের মাঝে। প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমটিতে ইংরেজি ভাষার এই আয়োজনে মার্কিন নির্বাচন সম্পর্কিত আলোচনা ও বিশ্লেষণ সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী অনলাইন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সাংবাদিক নাদের রহমানের সঞ্চালনায় ঠিকানা টিভি দর্শকদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বজুড়ে এই নির্বাচনের তাৎপর্য সম্পর্কে ভিন্নমাত্রিক বিশ্লেষণ তুলে ধরেছে। ব্রেকিং নিউজ আর প্রোগ্রামে রাজনৈতিক ভাষ্যকার, সুইং স্টেটের সংবাদদাতা ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিকেরা মাঠ থেকে ও ভোট কেন্দ্র থেকে তাদের সংবাদ ও আলাপ তুলে ধরেছেন প্যালেস্টাইন, মেক্সিকো এবং ইউরোপের মতো অঞ্চলে এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনকে কীভাবে দেখা হচ্ছে সে সব দৃষ্টিভঙ্গিও।
প্রবাসীদের হাতে গড়া মার্কিন এই সংবাদ মাধ্যমটির নির্বাহী প্রযোজক ও চিফ অপারেটিং অফিসার মুশরাথ শাহীনের প্রযোজনায় নির্বাচনকেন্দ্রিক অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি কভারেজ দেয়া হয়েছে। সার্বিক আয়োজন সম্পর্কে মুশরাথ শাহীন জানিয়েছেন, নির্বাচনকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সারা বিশ্ব থেকে অনেক কণ্ঠস্বরকে একই সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ব রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী ইভেন্টের একটি মার্কিন নির্বাচনের সার্বিক দিক তুলে ধরার কাজ করা হয়েছে। পেশাদার সাংবাদিকতা ও দায়িত্বশীলতাকে গুরুত্ব দিয়ে দর্শকদের কাছে নির্বাচনের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মধ্যে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি জোহরান মামদানি ও এনওয়াইসি কম্পট্রোলার ব্র্যাড ল্যান্ডারের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। সেইসাথে পিবডি পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা মার্সিয়া রবিউ এবং রাজনৈতিক পরামর্শদাতা এবং পোলস্টার জ্যোত সিং-এর মতো সম্মানিত সাংবাদিকরা নিজেদের মূল্যবান ভাবনা প্রকাশ করেন। বিশ্লেষকেরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও বর্তমান রাজনৈতিক আবহওয়ার নানান প্রভাবক নিয়ে আলাপ করেন।
সাংবাদিক নাদের রহমান বলেন, আমাদের কভারেজ শুধু ভোট নিয়ে নয়, আমরা গণতন্ত্রের ভবিষ্যত, বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বরের শক্তি ও সামাজিক শক্তিকে গুরুত্ব দেই। ঠিকানা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা ভৌগলিক ও ভাষাগত বিভাজনের মধ্য ডিজিটাল সেতুবন্ধন এখন। এই টিভি এখন বিনোদন, খেলাধুলা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বিষয়টিকে দর্শক আগ্রহের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করছে। উদ্ভাবনী, দায়িত্বশীল ও কমিউনিটিকে যুক্ত করে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
এজেড