জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০২ জুন ২০২৩, ০৯:১২ পিএম
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি বিএনপি। তবে বাজেট নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেছেন দলটির নেতারা। এরমধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও অন্য নেতাদের সঙ্গে একই সুরে বলেছেন- দেশের এই বাজেট মানুষের মধ্যে কোনো স্বস্তি আনতে পারবে না।
বিএনপির শীর্ষ এই নেতার দাবি, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করার বাজেট।
শুক্রবার (২ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ওই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।
সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কাউকে ছোট করতে চাই না। সবাইকে সম্মান করতে চাই। আমরা তখনই কষ্ট পাই, দুঃখ হয়- একটা গোষ্ঠী যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে খলনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করে। কিন্তু ওই গোষ্ঠীরা জানে না জাতি তাকে হৃদয়ে ধারণ ও লালন করে রাখে।জিয়াউর রহমান সমৃদ্ধি ও দেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওনার সেই চিন্তা থেকেই এমন ভাবনা এসেছে। সার্কের প্রতিষ্ঠাতা কে? সেই জিয়াউর রহমান। আজ তাকে দূরে ফেলে দিয়ে চায় তারা।
বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘বাকশাল শাসন ব্যবস্থা এ দেশের মানুষের পক্ষে ছিল না। এ দেশের মানুষ এ জন্য যুদ্ধ করেনি। গণতন্ত্র থাকবে না। অধিকার থাকবে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকবে না। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা থাকবে না। এজন্য দেশের মানুষ যুদ্ধ করেনি।’
ফখরুল বলেন, এই বাজেট মানুষের মধ্যে কোনো স্বস্তি আনতে পারবে না। কীভাবে টাকা আসবে তার কোনোকিছু স্পষ্ট করেনি সরকার। এটা সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করার বাজেট। তারা মেগা প্রজেক্ট করে টাকা চুরি করবে এজন্যই। এটা বাস্তবতা বিবর্জিত একটা বাজেট। এরা সবকিছু বিলীন করে দিচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা তো বলিনি বিএনপিকে ক্ষমতা দাও। আমরা তো চেয়েছি একটা সুষ্ঠু ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। অনেক হয়েছে। এনাফ ইজ এনাফ। ভালোই ভালোই বিদায় নাও। নইলে কীভাবে বিদায় করতে হয়, তা এ দেশের মানুষ জানে।
সভায় অন্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বাংলাদেশের কোনো সেক্টর কমান্ডার বলেননি, আই রিভল্ট। কারও কোনো সাহস হয়নি। শুধু বলেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ওনার ডাকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওই সভায় অন্যদের মধ্যে প্রফেসর ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, প্রফেসর ড. বোরহান উদ্দিন খান, ডা. এ কে এম আজিজুল হক, ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল রহমান রিজু, অধ্যাপক সেলিম ভুঁইয়া, অধ্যাপক লতিফুর রহমান, ড. শামছুল আলম সিদ্দিকী, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. গোলাম হাফিজ কিবরিয়া কেনেডি, বিএনপি স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সভা শেষে জিয়া পরিবারের সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বিইউ/আইএইচ