images

রাজনীতি

শেখ হাসিনা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:২৯ পিএম

সংবিধানের আলোকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। 

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ শাখা আয়োজিত 'মুক্তির মন্ত্রে বঙ্গবন্ধু: সংবিধান এবং আইনের শাসন' শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আইনের শাসন ধ্বংস করার জন্য দেশে ও দেশের বাইরে সম্মিলিত যে চেষ্টা হয়েছিল সে চেষ্টার বিপরীতে প্রত্যয়দীপ্ত সাহসী ভূমিকা রেখে বঙ্গবন্ধুকন্যা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ সংবিধানের বিধি-বিধানের আলোকে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

রেজাউল করিম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশে খুনের রাজত্ব কায়েম, খুনিদের পুনর্বাসন, গণতন্ত্র ধ্বংস করা, আইনের শাসন ধ্বংস করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিতর্কিত করা-এসব কাজ বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এবং পরবর্তীতে খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া ধারাবাহিকভাবে করেছে। তারা স্বাধীনতার মূলমন্ত্রের বিরোধীদের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করেছে, আইনের শাসন ধ্বংস করে বাংলাদেশকে জঘন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় যারা এসেছে, সবাই আইনের শাসনের পরিপন্থী কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ফিরে এসে যুদ্ধাপরাধের বিচার, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারসহ বড় বড় অপরাধের বিচার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান। সংবিধান এবং আইনের শাসন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আইনের শাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে আইন অনুযায়ী সবকিছু হবে। সে আইন, যে আইন সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। আইনের শাসনের কথা বলতে গেলে সাংবিধানিক বিধি-বিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। আইনের শাসনে বিশ্বাসী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সংবিধান দিয়েছেন। পরবর্তীতে সেটাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

রেজাউল করিম আরও বলেন, সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং সংবিধানের চারটি স্তম্ভ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর হাতে ধরে। বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি শেখ হাসিনা সেটা বিকশিত করছেন। শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন আইনের শাসনের কোনো বিকল্প নেই।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি দর্শন, একটি বিশ্বাস, একটি প্রেরণা। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের যেকোনো অঞ্চলে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষরা যখনই পথ হারিয়ে নতুন কোন দিগন্তের কথা ভাববে, তখন বঙ্গবন্ধু নামক বিশ্বাস ও দর্শনের কাছে ফিরে আসতে হবে। যখনই কোন জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে, অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে মুক্তি চাইবে অথবা স্বাধিকার আদায়ে কোন বাধার সম্মুখীন হবে, তখনই স্মরণ করতে হবে বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য। বঙ্গবন্ধু সে কারণেই আজ ও আগামীতে অনিবার্য।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ শাখার সভাপতি আফরেদী হাসান সেজার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।

বিশেষ আলোচক ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল এবং বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ শাহনেওয়াজ টিপু। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন।

ডব্লিউএইচ/এমআর