নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:২২ এএম
কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় গিয়ে তার সহধর্মিণীকে সহমর্মিতা জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিএনপি মহাসচিবের উত্তরার বাসায় যান। তারা মির্জা ফখরুলের সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগমের সঙ্গে দেখা করে পরিবারের সদস্যদের সার্বিক খোঁজখবর নেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল, রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, কৃষিবিদ ড. গোলাম হাফিজ কেনেডি, সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, ড. মামুন অর রশিদ, প্রফেসর আবু জাফর খান, ড. ইমতিয়াজ খান, ডা. আমিনুল বারি কানন, ডা. সোহেল আহমেদ, ড. ইদ্রিস আলী, ব্যারিস্টার আবুল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মো. হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার এ বি এম রুহুল আমিন আকন্দ, ইঞ্জিনিয়ার কাজী সাখাওয়াত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রশিদ মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার ওমর ফারুক, সাংবাদিক রিয়েল রোমান, তানভীরুল হাসান খান ও কল্লোল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তি জামিন পাওয়ার অধিকারী। সেই হিসেবে জামিন পাওয়ার যোগ্য মির্জা ফখরুল। তাছাড়া বর্তমানে যে অভিযোগে তিনি কারাগারে রয়েছেন, প্রায় একই রকমের ৯০টি মামলায় এর আগে তিনি জামিন পেয়েছেন। শুধু রাজনৈতিক কারণে তার জামিন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। এতে আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে আস্থার সংকট দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল দেশের একজন অতি গুরুত্বপূর্ণ ও বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ। ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের ঠিক আগের দিন তাকে গ্রেফতার এবং বারবার তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করায় জনমনে এই ধারণাই প্রবল হচ্ছে- তার বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মির্জা ফখরুল বাংলাদেশের একজন মার্জিত রাজনীতিক। তিনি এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করছেন। তার বয়স এখন ৭৬ বছর। তিনি নানান জটিল রোগে ভুগছেন। তার বিরুদ্ধে গত ১০ বছরে ৯২টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলা ডাহা মিথ্যা। একই ধরনের সব মামলায় জামিন পেলেও নতুন মামলায় কেন তার জামিন হচ্ছে না, তা বুঝতে কারও বাকি নেই।
সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সামাজিক অবস্থান, বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় মির্জা ফখরুল জামিন পাওয়ার যোগ্য। জামিন না দিয়ে ন্যায়বিচার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। জামিন না দেওয়া এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতায় পরিণত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বোঝা যায়, বিচারব্যবস্থা অচল এবং এর পরিবর্তন আবশ্যক। আদালতকে তার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিচারপ্রার্থী কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না হন, তা বিবেচনা করতে হবে। মামলার এজাহারে যার নাম নেই, সুনির্দিষ্টভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগও নেই। তারপরও তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
কাদের গনি বলেন, অভিযোগ আনলেই হয় না। অভিযোগের সম্পৃক্ততাও আদালতে প্রমাণ করতে হয়। সম্পৃক্ততা থাকলে আদালত তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিতে পারেন। রাষ্ট্রপক্ষের বিরোধিতার কারণে জামিন না দেওয়াটা কাঙ্ক্ষিত নয়। এভাবে বিচারব্যবস্থা চলতে পারে না। প্রচলিত বিচারব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। নয়তো আমাদের চরম মূল্য দিতে হবে।
এমই/এইউ