images

রাজনীতি

আ.লীগের সম্মেলনের দিনে সমমনাদের নিয়ে মাঠে থাকবে বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১০ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:১৫ পিএম

বেশ কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় থাকা বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর প্রথম কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আগামী ২৪ ডিসেম্বর। ওই দিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, ৯৬ সালের আলোকে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে সারাদেশে ২৪ ডিসেম্বর জেলা ও মহানগর পর্যায়ে গণমিছিল পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত গণসমাবেশে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

এসময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি, দলীয় কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে এবং গুলিতে নিহত নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে আগামী ১৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। ওইদিন ঢাকা মহানগরসহ প্রতিটি মহানগরে বিক্ষাভ ও গণমিছিল কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।

এর আগে সমাবেশে ১০ দফা দাবি পেশ করেন খন্দকার মোশাররফ। এ ১০ দফা আদায়ের কর্মসূচিতে আগামী দিনে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যারা আগ্রহী তাদের অংশ নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

bnp4

প্রসঙ্গত, গত ২৮ নভেম্বর আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবারের সম্মেলন এক দিনেই হবে। সম্মেলন হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। তবে জাঁকজমকপূর্ণ হবে না। বৈশ্বিক সংকটের কারণে কৃচ্ছ্রসাধন করে আমরা সম্মেলনের আয়োজন করব। আনুষ্ঠানিকতার পেছনে ব্যয় কমানো হবে। সাদামাটাভাবে আয়োজন করা হবে সম্মেলন।

এদিকে কর্মসূচি ঘোষণার সময় খন্দকার মোশাররফ অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার আজকের গণসমাবেশে বাধা দেওয়ার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করেছে। আমাদের সাড়ে চারশোর বেশি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সব বাধা-বিপত্তি মোকাবেলা করে আজকের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল হয়েছে।’

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা প্রমাণ করেছেন নেতার জন্য নয়, আপনারা দেশের জন্য রাজনীতি করেন। এই সমাবেশ বানচাল করার জন্য প্রশাসন ত্রাস সৃষ্টি করেছে। আমাদের এক নেতা পুলিশের গুলিতে নিহত, আরও শত শত আহত হয়েছেন। আমাদের দলীয় কার্যালয়ের সকল সম্পদ পুলিশ নিয়ে গেছে। পুরো কার্যালয় তছনছ করে গেছে।’

bnp33

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার এখন জনতার ভয়ে ভীতু। এজন্য আমাদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। সভা সমাবেশ করার আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সেখানেও বাধা। কারণ আমরা মানুষের ভোটের অধিকারের কথা বলছি। নিরাপত্তার কথা বলছি। আমরা জানি এই বাংলাদেশের মানুষ আর সরকারকে ভয় পায় না। মানুষ এখন শেখ হাসিনার বিদায় চায়। খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ছে। এতে মানুষ কী বার্তা দিচ্ছে। মানুষ এখন সরকারকে সরে যেতে বলছে। মানুষ আর হাসিনা সরকারকে দেখতে চাচ্ছে না। মানুষ এখন নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র নেতৃত্ব চাচ্ছে। এই সরকারকে এখন আর বিশ্বাস করে না।’

বিইউ/জেবি