images

রাজনীতি

ঢাকার সমাবেশেও খালেদা-তারেকের জন্য ফাঁকা চেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:১৭ এএম

অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশের মতো ঢাকার সমাবেশেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সম্মানে মঞ্চে চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে আরও একটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়েছে। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্মানে সেই চেয়ারটি ফাঁকা রাখা হয়েছে।

এর আগে দেশের সবকটি বিভাগে খালেদা জিয়ার জন্য চেয়ার ফাঁকা রাখা হলেও দু-একটিতে তারেক রহমানের জন্যও ফাঁকা রাখা হয়েছিল চেয়ার।

দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া সরকারের বিশেষ উদ্যোগে কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে আছেন। এখন ফিরোজায় দিন কাটছে তার।

অন্যদিকে বিদেশে অর্থপাচারসহ তিনটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন।

রাজধানীর ধুপখোলা মাঠে শুরু হয়ে বিএনপির এই সমাবেশ। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকে মঞ্চে এসেছেন। সমাবেশ ঘিরে গতরাত থেকেই পুরো মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনুকুল হাসান শ্রাবণসহ আরও অনেকে মঞ্চে অবস্থান করছেন।

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন। সমাবেশে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান উপস্থিত না থাকলেও মঞ্চে তাদের জন্য দুটি চেয়ার খালি রাখা হয়েছে।

চেয়ার দুটিতে একটিতে খালেদা জিয়া ও অন্যটিতে তারেক রহমানের ছবি রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে মঞ্চের ব্যানারে বামপাশে অবস্থান পেয়েছে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়ে মারা যাওয়া নেতাকর্মীদের ছবি।

একাধিক নেতাকর্মী জানান, ঢাকার সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে চায় তারা। নেতাকর্মীরা বলেন, আমরা মনে করতে চাই না তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া আমাদের মঞ্চে নেই তবে তারা সবসময় আমাদের সঙ্গেই আছেন। সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিএনপি প্রধান ও তার ছেলে তারেক রহমানের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

এদিকে সমাবেশ ঘিরে ভোর থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা যোগ দিচ্ছেন গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে। মিছিল আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।

ডব্লিউএইচ/এমআর