images

রাজনীতি

নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:২২ পিএম

রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে বৃহস্পতিবার (০৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এখনো তারা বিক্ষোভ করছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড়ে আসেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু পুলিশের বাঁধায় নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেতে পারেননি তিনি। 

ফিরে যাওয়ার সময় মির্জা ফখরুল বলেন, সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। ১০ তারিখের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য সরকারের হীন পরিকল্পনা করছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য মানুষের অধিকারকে ধ্বংস করার জন্য আমাদের রাজনৈতিক অধিকারকে হরণ করার জন্য তারা এ কাজগুলো করেছে। আমি যদি আমার নিজের অফিসে যেতে না পারি তাহলে কি করে একজন মানুষ রাজনৈতিক কাজ করবে। 

ফখরুল বলেন, বিএনপি পার্টি অফিসে কোনো ধরনের বিস্ফোরক ছিল না। পুলিশ এসব বোমা রেখেছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নসাৎ করতে সরকারে হীন পরিকল্পনা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য মানুষের অধিকারকে ধ্বংস করার জন্য। গণতান্ত্রিক অধিকার না থাকলে কিভাবে একটি গণতান্ত্রিক দল কাজ করবে। 

তিনি বলেন, সাংবিধানিক অধিকার স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে এটা এখানে নেই। গণতান্ত্রিক অধিকারতো দূরের কথা মানুষ সভ্য সমাজে বাস করছে না। সরকারের এধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান।

বিএনপি অফিস খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের মুক্তি ও নিহতদের হত্যার তদন্তের দাবি জানান ফখরুল। 

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশ সুন্দর সুষ্ঠুভাবে করতে সরকারের কাছে দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব।

এদিকে আজ সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকার আশপাশ এলাকার অলিগলির গেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, আশপাশের মার্কেটগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
 
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নাইটিঙ্গেল ফকিরাপুল মোড়ে ব্যারিকেড বসিয়ে যানবাহন এবং সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করেছে পুলিশ। কাউকে এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। জরুরি কাজে স্থানীয়রাও বাসা থেকে বের হতে পারছেন না। এমনকি নয়াপল্টন এলাকার দোকানপাট, বিপনিবিতান, অফিস ও ব্যাংক সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে।

শান্তিনগর বাজার গলির বাসিন্দা আবুল হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, সকালে গলির গেট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বাসা থেকে কোথাও যেতে পারছি না। আমার সন্তানকে স্কুলেও নিয়ে যেতে পারি নাই। 

কেআর/এএস