images

রাজনীতি

‘নাগরিক অধিকারের কফিনে পেরেক ঠুকবেন না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:২০ এএম

রাজনৈতিক সমাবেশে বাধা দিয়ে ও সহিংস হামলা করে নাগরিক অধিকারের কফিনে পেরেক না ঠুকার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)। তিনি বলেছেন, বহুদলীয় রাজনীতি এবং ক্ষমতাসীন দলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মিছিল-সমাবেশ করা, এমনকি ক্ষমতা পরিবর্তনের চেষ্টা করা বাংলাদেশের সংবিধান মতেই বিধিসিদ্ধ।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে চরমোনাই পীর এসব কথা বলেন। 

মুফতি রেজাউল করিম বলেন, একটি স্বাধীন দেশের রাজনীতিতে বিরোধীদল সমাবেশ করবে, মিছিল করবে এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার এবং সেসব সমাবেশে নিরাপত্তা দেওয়া, সমাবেশে উপস্থিত জনতার যাতায়াত সহজ করে দেওয়া যেকোনো সভ্য রাষ্ট্রের সরকারের মৌলিক দায়িত্বের অংশ। বাংলাদেশের মতো একটা দেশ; একটি জনযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেই দেশে এসব অধিকার চর্চিত হবে বলেই জনতা আশা করে।

তিনি বলেন, অতিব দুঃখের সঙ্গে পরিলক্ষিত হচ্ছে, বর্তমান ক্ষমতাসীন একটি গণপ্রজাতন্ত্রী স্বাধীন রাষ্ট্রের এসব মৌলিক অধিকারগুলোকে নির্মমভাবে হরণ করেই যাচ্ছে। তারা বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশগুলোতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাধাগ্রস্ত করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিরোধীদলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা একটি উত্তেজনাপূর্ণ সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করেছে। 

চরমোনাই পীর বলেন, স্বাধীনতার ৫২তম বছরে এসে বিরোধীদের সমাবেশ করার মতো স্বাভাবিক বিষয়কে কেন্দ্র করে যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি করা হয়েছে, যেভাবে ধরপাকড় করা হচ্ছে, যেভাবে হামলা-মামলা ও গুলি করে বিরোধী মতের নেতাকে হত্যা করা হচ্ছে তা অকল্পনীয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।

মুফতি রেজাউল করিম বলেন, আমরা সরকারি দলকে আহ্বান করবো, বিরোধীদের যেকোনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহায়তা করুন। স্পষ্ট করে বললে, আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে বাধামুক্ত-স্বাচ্ছন্দ্য করতে যা যা করণীয় তাই করুন। আর বিরোধীদলকে আহ্বান করবো, আপনাদের সাম্প্রতিক সমাবেশগুলোর মতো ঢাকার সমাবেশকেও শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর রাখতে রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর বাদ দিন।

টিএই/এইউ