বন্দুকের নল দিয়ে ভালোবাসা আটকানো যায় না: রুমিন ফারহানা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি দলের বিরুদ্ধে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, বিএনপির প্রতি ভালোবাসা থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকছেন। ভালোবাসা। এই ভালোবাসা বন্দুকের নল দিয়ে আটকে রাখা যায় না।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘গত ১৫ বছর আমরা বীভৎস সময় পার করছি। আমরা ভোট দিতে পারিনি, কথা বলতে পারিনি। অসংখ্য নেতাকর্মীও হারিয়েছি। অনেককে গুম করা হয়েছে। কিন্তু আর না। পরিষ্কার বলে দিতে চাই, দেশের যেখানেই গণসমাবেশ হয়েছে সেখানেই জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। আপনারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছেন, এটা ভালোবাসা। বিএনপির প্রতি ভালোবাসা, দেশের প্রতি ভালোবাসা। এই ভালোবাসা বন্দুকের নল দিয়ে আটকে রাখা যায় না।’

সংরক্ষিত নারী আসনের এই এমপি বলেন, ‘বিএনপি ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকে। বিএনপি খারাপ থাকলে দেশ খারাপ থাকে। কিন্তু সামনে আমি আলো দেখছি। মানুষ আর এ সরকারকে চায় না, তাই শত প্রতিবন্ধকতা দিয়ে জনস্রোত ঠেকানো যায়নি।’

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে রুমিন ফাহানা বলেন, ‘নির্বাচনের নামে ২০১৪ সালে তামাশা করেছেন। ১৮ সালে তামাশা করেছেন। কিন্তু ২০২৪ সালের নির্বাচনে কোনো তামাশা হবে না। আমরা নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করব।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। এ দেশে ইভিএমে কোনো ভোট হবে না, হবে ব্যালটে। সারা পৃথিবীতে ব্যালটে হয়। ইভিএমে ভোট আমরা দেব না।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে এই নারী সংসদ সদস্য বলেন, নিজের দেশের মানুষের ওপর, ভাইদের ওপর বন্দুক তাক করবেন না। র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসছে। আপনারাও সেই পথে আগাবেন না।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়াসহ কুমিল্লা সাংগঠনিক বিভাগের শীর্ষ নেতারা।

বিইউ/এমআর