‘ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন’

সরকার নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বিরোধী নেতাদের দমন-পীড়ন এবং হত্যার রাজনীতিতে মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।  

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর দায়িত্বশীল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, ‘হিংসাত্মক রাজনীতি পরিহার করা সবার জন্যই উচিত। সরকার বিরোধীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে, যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু যে রাজনীতি মানুষের জানমালের ক্ষতি করে আতঙ্কের সৃষ্টি করে তা কারও কাম্য হতে পারে না।’

মুফতী রেজাউল করীম বলেন, ‘সরকার জনগণের নাগরিক ও বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। দেশময় অশান্তি ও মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়।’

আরও পড়ুন: ‘আলেমরা আবার নামলে ঢাকায় জায়গা হবে না’

ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের শিক্ষা দেয়। অশান্তি দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের বিকল্প নেই।’ তিনি সবাইকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে ফিরে আসার আহ্বান জানান।

চরমোনাইর পীর বলেন, ‘শ্রমিক আন্দোলন শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। শ্রমজীবী মানুষ আজ অসহায়। তারা বিভিন্নভাবে অধিকার বঞ্চিত।’

রেজাউল করীম বলেন, ‘শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামি শ্রমনীতি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। ইসলামী আন্দোলন দেশে কল্যাণের রাজনীতি করছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা দুর্নীতিতে আকুণ্ঠ নিমজ্জিত। দুর্নীতি দুঃশাসনমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমরা কাজ করছি।’

সংগঠনে ঢাকা মহানগর পশ্চিম সভাপতি মাওলানা গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে এবং মুফতী মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম। প্রধান বক্তা ছিলেন শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।

আরও বক্তব্য দেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল হাফেজ ছিদ্দিকুর রহমান, এইচএম রফিকুল ইসলাম, হাফেজ সৈয়দ ওমর ফারুক, ওবায়দুর রহমান বিন মোস্তফা, কেএম বিল্লাল হোসেন, অধ্যাপক আব্দুল করীম, হাজী নজরুল ইসলাম, হাজী আব্দুর রহমান দুলাল, হায়দর আলী, ওবায়দুল্লাহ বরকত, হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়া, আমিরুল হক প্রমূখ।

জেবি