নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৩ পিএম
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশজুড়ে নিস্তব্ধতা। আজ (বুধবার) তার শেষ বিদায়। দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা শেষে তিনি সমাহিত হবেন চন্দ্রিমা উদ্যানে স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে।
আর কোনোদিন শোনা যাবে না বেগম জিয়ার কণ্ঠে ভাষণ। কাউকে বলতে শোনা যাবে না, ‘আমার একমাত্র ঠিকানা বাংলাদেশ’। এমন হাজারো সৃতিচারণ করছেন রাজধানীর বিভিন্ন অলি-গলিতে, চায়ের দোকানে বসে কাপ হাতে গল্প করা সাধারণ মানুষগুলো।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর কয়েকটি এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে, চায়ের দোকানে বসে খালেদা জিয়ার স্মৃতিচারণ করছেন অনেকে। এমনকি রাস্তার পাশে, অলি-গলিতে দাঁড়িয়ে অনেকে আলোচনা করছেন আপসহীন এই নেত্রীকে নিয়ে।
কথা হয় আবদুল সামাদ নামে ৬৫ বছর বয়সি এক বৃদ্ধের সঙ্গে। দোকানে বসে চা পান করছিলেন সমবয়সি কয়েকজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার কপাল খারাপ। তার কপালে সুখ সইলো না। এক পোলারে হারাইছে, সে কষ্ট তো আছেই, তার উপর যখন আরেক পোলা দেশে আসলো, তখনই তিনি চলে গেলেন।’
করিম নামে আরেকজন বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর অন্যায় ও মিথ্যা মামলা নিয়ে অনেক হেনস্তা হতে হয়েছে খালেদা জিয়াকে। এখনকার পোলাপান তার শাসন দেখেনি, আমরা দেখেছি। তিনি ছিলেন ধর্মপ্রাণ একজন নেত্রী।
রিফাত মজুমদার, বয়স ২৩-২৪ হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা তো ছোট ছিলাম, দাদা-নানাদের মুখে তার কথা শুনেছি। সোস্যাল মিডিয়াতে ভিডিও দেখেছি তার ভাষণের। আশা ছিল, এবার সরাসরি দেখতে পারব যে, আসলে তিনি এমন সাহসিকতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করেন কি না। কিন্তু অসময়ে চলে যাওয়ায় সে আশা পূরণ হলো না।’
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। লিভার-কিডনিসহ তার দেহের গুরুত্বপূর্ণ সব অঙ্গই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বলে চিকিৎসকদের বরাতে জানা গেছে।
বর্তমানে খালেদা জিয়ার মরদেহ রয়েছে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। সেখানে জানাজার পর তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে তার স্বামী জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে।
এমএইচএইচ/এএইচ