জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম
বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। শিক্ষা খাতে তিনি রেখে গেছেন অবিস্মরণীয় অবদান। নকলমুক্ত পরীক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনে ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে খালেদা জিয়ার নাম।
খালেদা জিয়ার সর্বশেষ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির হার ৯৭ শতাংশে উন্নীত করা হয়। ছাত্রীদের শিক্ষা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক করা হয়। প্রায় দুই কোটি ছাত্রীকে শিক্ষা-উপবৃত্তির আওতায় আনা হয় এবং বিদ্যালয়সমূহে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
তার সময়ে মেয়েদের জন্য দুটি নতুন ক্যাডেট কলেজ ও তিনটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সব চেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে মাদরাসা শিক্ষায়। মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিকায়নের পাশাপাশি খালেদা সরকার কওমি মাদ্রাসাগুলোর ‘দাওরা’ সনদকে স্বীকৃতি দেয় এবং ফাজিল ও কামিল ডিগ্রিকে ব্যাচেলর্স ও মাস্টার্স ডিগ্রির সমতুল্য ঘোষণা করে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়, যেগুলোর বেশিরভাগই ছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত। অনেকগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়; বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় এবং দেশব্যাপী এধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫১ থেকে ৬৪টিতে উন্নীত করা হয়।
টিএই/ক.ম