নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৪ এএম
বিপ্লবীদের খুন করে বিপ্লবের চেতনা দমানো যায় না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘যারা বিল্পবী তাদের খুন করে বিপ্লবের চেতনাকে খুন করা যায় না বরং সেই চেতনা আরও ছড়িয়ে পড়ে। গতকালকের হাদির জানাজা সারা দুনিয়া প্রত্যক্ষ করেছে এবং আমরা মনে করি সারা দুনিয়ায় জানাজার সঙ্গে মানসিকভাবে সম্পৃক্ত ছিল।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারতে গিয়ে এসব কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে হাদির কবর জিয়ারত করেন এবং আল্লাহর দরবারে মরহুমের মাগফিরাত ও শাহাদাত কবুলিয়াতের জন্য দোয়া করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মো. মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফারহাদসহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ও মহানগরী নেতৃবৃন্দ।
জামায়াত আমির বলেন, ‘হাদির দুশমনেরা কার্যত বাংলাদেশেরই দুশমন। কারণ হাদিরা বাংলাদেশের পক্ষে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের পক্ষে ছিল। হাদিরা আপন সংস্কৃতির কথা বলতো। হাদিদের উচ্চারণ ছিল অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে।’
শফিকুর রহমান আরো বলেন, ‘হাদিরা কোটি তরুণের প্রাণে দ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এই দেশ এই জাতি আমাদের। দেশ ও জাতির পাহারাদারও আমাদের করতে হবে। কোনো কালো চিলকে আমাদের ভাগ্যে ছোঁ মারার সুযোগ আর দেব না। এটাই ছিল তাদের অঙ্গীকার। তারা বলেছিল জীবন দেব তবুও চব্বিশ দেব না। এটা কেন বলেছিল আমরা সবাই বুঝি। এটাই তাদের অপরাধ? তারা কারো দিকে অন্যায়ের হাত বাড়ায়নি। কারোর ওপর জুলুম করেনি।
‘হাদি আজীবন ইনসাফের কথা বলেছে। এমনকি এটাও বলেছে যে আমি কোনো শত্রুর ওপরেও বেইনসাফি করতে চাই না এবং কেউ বেইনসাফি করুক সেটাও আমরা দেখতে চাই না।’
দ্রুত ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘দ্রুত সমস্ত সন্দেহ-সংশয়ের বাইরে এসে খুনিদের গ্রেফতার করতে হবে এবং আইনের আওতায় আনতে হবে। যদি খুনিরা পার পেয়ে যায় তাহলে আপনার আমার কারো জীবন নিরাপদ করা যাবে না।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হোক, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এই লক্ষ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাব। মূল কথা হলো নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে যেন অন্য কিছু চিন্তা না করা হয়।’
এমআর