images

রাজনীতি

জাপায় ফিরতে চায় রাঙা, ভিডিও বার্তায় চাইলেন ক্ষমা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১২ এএম

এক সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন মশিউর রহমান রাঙা। দলের ভেতরে-বাইরে প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল বেশ। বিশেষ করে আওয়ামী টানা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রক ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দল থেকে বহিষ্কারের পর কোণঠাসা হয়ে পড়েন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি এখনও পলাতক রয়েছেন।

কিন্তু হঠাৎ করে তার একটি ক্ষমা চাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে তাকে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কাছে ক্ষমা চেয়ে দলে ফেরার আকুতি জানাতে শোনা যায়।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ২ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের ভিডিওটি কবে, কখন, কোথা থেকে ভিডিওধারণ করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

ভিডিও বক্তব্যে রাঙ্গা বলেন, ‘আমি জাতীয় পার্টির একজন কর্মী ছিলাম। ১৯৯৭ সালে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাত ধরে আমি প্রথম জাতীয় পার্টিতে আসি এবং সেই বছরই দলের চেয়ারম্যান আমাকে রংপুরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।

রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তার পরবর্তীতে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি ২০০১ সালে, রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনে। সেখান থেকে আমি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হই। পর্যায়ক্রমে দীর্ঘ সময় আমি জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পদে আসীন ছিলাম এবং পরবর্তীতে আমাকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব নির্বাচিত করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ওনার মৃত্যুর পর কাউন্সিলের মাধ্যমে জিএম কাদের চেয়ারম্যান এবং আমাকে মহাসচিব মনোনীত করা হয়।’

জাপা থেকে বহিষ্কারের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি বেশ কিছুদিন তার সঙ্গে একত্রে রাজনীতি করেছি। সেই সময় হয়ত আমার যেকোনো একটি কারণে দলের চেয়ারম্যান আমার ওপর একটু দুঃখ পেয়ে আমাকে আমার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। তারপরও আমি ওনার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তখন আমি সংসদ সংসদ সদস্য ছিলাম। ওনার সঙ্গে বরাবরই কথা হতো এবং সম্মানের সঙ্গেই আমি কথাবার্তা বলতাম, এখন পর্যন্ত বলেই আসছি। পরবর্তীতে সর্বশেষ আমাকে যখন প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করেছিলেন, তখন আমি একটু কষ্ট পেয়ে প্রেস কনফারেন্স করেছিলাম এবং আমি দুঃখ করে অনেক কথা বলেছিলাম।’

‘আমি এখন বুঝি যে, এগুলো করা আমার ঠিক হয়নি বা আমি ঠিক করিনি। আমি জাতীয় পার্টি বাদে অন্য কোনো দলের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত ছিলাম না। জাতীয় পার্টির যারা আমাকে অনুসরণ করতো তারাও এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টিতে রয়ে গেছেন। তো আমার এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি অবশ্যই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কাছ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছি এবং তিনি আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আমি এতেই খুশি। আমি শুধু আশা করছিলাম ওনার কাছে যে, জাতীয় পার্টিতে যদি আমাকে আবারও খানিকটা দায়িত্ব দেওয়া হয়, অন্তত শেষ জীবনের শেষ সময়টায় যেন আমি জাতীয় পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘আমি জাতীয় পার্টির সমস্ত নেতাকর্মীদের কাছে অনুরোধ জানাব যে, যদি কারো মনে কোনো দুঃখ দিয়ে থাকি, অবশ্যই ক্ষমা করে দিবেন এবং আমাকে আবার আপনাদের সঙ্গে পথচলার সাথী করে নেবেন, এটাই আশা করি আপনাদের কাছে।’

বিইউ/এমআই