images

রাজনীতি

কারা দিল্লির অ্যাসেট হিসেবে কাজ করছে, খুঁজে বের করতে হবে: ফুয়াদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১২ পিএম

এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস আমাদের বারবার মনে করিয়ে দেয়—কে ছিল নায়ক আর কে ছিল খলনায়ক। সীমান্তের ওপারে যারা আছে, তারা কখনোই বাংলাদেশের বন্ধু ছিল না, এখনও নয়। কিন্তু আজ সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, দেশের ভেতরে কারা দিল্লির খলনায়ক অ্যাসেট হিসেবে কাজ করছে- তা খুঁজে বের করতে হবে ।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আমরা জানি না সশস্ত্র বাহিনীর ভেতরে কারা কারা নখরে নখরে বাংলাদেশকে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। ডিজিএফআই, এনএসআই, পুলিশ প্রশাসন, টিভি চ্যানেল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের আমলাতন্ত্রের ভেতরে কারা এই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে যুক্ত—সেটা আজ বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু থেকেই ভিন্ন ভিন্ন তথ্য ছড়িয়ে জাতির দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। একসময় যেসব সংস্থা ৪০ মিটার নিচ থেকেও নাকি শত্রু শনাক্ত করতে পারত, আজ সেই ‘মাইক্রোস্কোপ’ কোথায়—তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও বলেন, একাত্তরের পরও বাংলাদেশে স্বাধীনতাকামী শক্তিকে ধ্বংস করার ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র চলেছে। কাউন্টার ক্যু, রাজনৈতিক অনৈক্য সৃষ্টি, সীমান্তে প্রশিক্ষণ দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের হত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এসব ইতিহাস ভুলে গেলে আবারও একই ফাঁদে পড়তে হবে। আজ যারা গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি, তারা যদি ক্ষমতার ভাগ-বাটোয়ারায় বিভক্ত হয়, তাহলে পুরো জাতিকে সর্বগ্রাসী বিপদের দিকে ঠেলে দেবে। অতীতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের ফাঁসি ঠেকানো যায়নি—এই বাস্তবতা ভুলে গেলে চলবে না।

আসাদুজ্জামান ফুয়াদ আরও বলেন, প্রশাসনের ভেতরে বসে একটি গোষ্ঠী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, এক দলকে আরেক দলের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে এবং মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে রাষ্ট্রকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। নির্বাচন ভণ্ডুল করার আয়োজন চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। দিল্লি আধিপত্যবাদকে ‘সফট পাওয়ার’ হিসেবে উপস্থাপন করার যে প্রবণতা কিছু বুদ্ধিজীবী ও তথাকথিত সুশীলদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে, তা অত্যন্ত অশনি সংকেত। গণঅভ্যুত্থানের তরুণদের এই ইতিহাস বুঝে এগোতে হবে।

তিনি বলেন, আজাদির লড়াই রক্ষার একমাত্র পথ হচ্ছে শত্রু সাপেক্ষ রাজনীতি করা এবং গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ রাখা। এর বাইরে কোনো বিকল্প নেই। তিনি প্রত্যাশা প্রকাশ করেন, ইনকিলাবের সেই কণ্ঠ আবারও নতুন করে বাংলাদেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।

এএইচ/এআর