নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলমান থাকায় এভারকেয়ার হাসপাতাল এখন দেশের অন্যতম তথ্যসূত্রের কেন্দ্রবিন্দু। সকাল থেকে গভীর রাত-হাসপাতালের প্রধান ফটক ঘিরে বেড়েছে সাংবাদিক, রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ মানুষের ভিড়। ক্যামেরার সামনে ধরা পড়ছে উদ্বেগ আর অপেক্ষার দৃশ্য।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালের ভিআইপি করিডোরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। চিকিৎসকদের পাশাপাশি নিয়মিত ব্রিফিং দিতে দেখা যাচ্ছে দায়িত্বশীলদের। তবে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য সীমিত হওয়ায় অনিশ্চয়তা আরও বাড়ছে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে খ্যাতি পাওয়া এই নেত্রীকে কেন্দ্র করে প্রতিটি আপডেট গুরুত্ব পাচ্ছে সংবাদমাধ্যমে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সংক্রমণসহ দীর্ঘদিনের বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার কারণে পরিস্থিতি সংবেদনশীল। প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, এবং মেডিক্যাল বোর্ড ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে রাখা হয়েছে তাকে। বিদেশি বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে চিকিৎসা পরিকল্পনায় আরও সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিনই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে দেখা যায় ভিন্ন ভিন্ন চিত্র। কেউ এসেছেন খোঁজ নিতে, কেউ দলীয় নেতাকর্মী, কেউ আবার এসেছেন সংবাদ সংগ্রহে। তাদের বেশিরভাগের চোখে উদ্বেগ-পরবর্তী ব্রিফিংয়ে কী জানানো হবে?

হাসপাতালের সামনে অবস্থান করা ক্যামেরা ইউনিটগুলো কখনো ফোকাস করছে চিকিৎসকদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে, কখনো পরিবারের আগমন–নির্গমনে। প্রতিটি ভিডিও ক্লিপ, প্রতিটি স্থিরচিত্র হয়ে উঠছে সংবাদচক্রের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এমনকি হাসপাতালের করিডোর ঘিরে কর্মচাঞ্চল্যও সংবাদ নির্মাণে ভূমিকা রাখছে।
এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে তারা নিয়মিত নিরাপত্তা এবং চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। জনসাধারণকে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করা হলেও ফটকে ভিড় কমছে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে, পরিবার ও দলীয় নেতাদের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে। তবে চিকিৎসা–সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো মেডিক্যাল বোর্ডের হাতে, এবং তারা এখনো কোনো বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়নি।
এএইচ/এমআই