নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৭ পিএম
যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আট দলের যৌথ গণসমাবেশ ঘিরে রাজধানীর পল্টনে আসছেন দলগুলোর নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা মিছিল, ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে পল্টনে আসছেন।
আয়োজকদের দাবি, সমাবেশে লাখো মানুষের অংশগ্রহণ হবে। এতে অংশ নিচ্ছে আটটি রাজনৈতিক দল। সেগুলো হলো- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (এনডিপি)।
আয়োজকদের ভাষ্য, আজকের সমাবেশ থেকে সরকারের কাছে জনগণের মৌলিক দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হবে। জামায়াতে ইসলামীর নেতারা জানান, জনগণের অধিকার ও দাবি সরকারের দৃষ্টিগোচর করাই এই গণসমাবেশের মূল উদ্দেশ্য। যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন এবং জনগণের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন, তাদের পাওনা ও দাবিকে বাস্তব রূপ দিতে এই সমাবেশ অপরিহার্য।
গতকাল জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ সমাবেশের ব্যাপক উপস্থিতি নিয়ে জানান, এটি শুধু জনগণের দাবিকে তুলে ধরবে না, বরং একটি বৃহৎ গণমতও প্রকাশ করবে।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা জনদুর্ভোগ সব সময় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছি। এটা আন্দোলনের একটা চলমান কর্মসূচি। দুর্ভোগের কথা আমরা বিবেচনা করেছি। আমাদের কর্মসূচির সময় ২ থেকে ৪টা।’
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা বিফলে গেছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আলোচনা ভেস্তে যায়নি। আলোচনার মাধ্যে একটি চার্টার তৈরি হয়েছে এবং স্বাক্ষরিত হয়েছে। মূলত সনদ নিয়ে নয়, সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে।
হামিদুর রহমান আরও বলেন, ‘গণভোট সংবিধানে ছিল, ফ্যাসিস্টরা বাদ দিয়েছে। যারা সংবিধানে গণভোট নেই বলে বলছেন, তারা ফ্যাসিস্টের কাজকে সমর্থন করছে। সংবিধানে ৫ বছর পর নির্বাচনের কথা আছে। তাহলে কি সংবিধান অনুযায়ী ২০২৬ সালে নির্বাচন হওয়ার কথা? বর্তমান সরকারও তো সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা পায়নি।
এএইচ/এমআর