জেলা প্রতিনিধি
০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫১ পিএম
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম মাস্টারের উত্তরসূরি মেহেদী হাসান রনি। তবে জেলার ৪টি আসনের মধ্যে কেবল ঝিনাইদহ-৩ আসনে ঘোষণা করে হাইকমান্ড। অন্য ৩টি আসন ঝিনাইদহ-১, ২ এবং ৪ এখনও কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘোষিত প্রার্থীর তালিকায় তার নাম প্রকাশ করা হয়। মনোনয়ন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মহেশপুর-কোটচাঁদপুরজুড়ে চলছে আনন্দমুখর পরিবেশ ও বিজয়ের স্লোগান। এবার ঝিনাইদহ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, গায়ক মনির খান, কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুজ্জামান খান শিমুল, মোমিনুর রহমান ও ঢাকা বারের সভাপতি রুহুল কবির কাজল।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ-৩ আসনটি মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এটি বিএনপির ঐতিহ্যবাহী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। প্রয়াত শহিদুল ইসলাম মাস্টার ১৯৯১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে টানা তিনবার ধানের শীষের প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, রনি যদি দলের ভেতর বিভাজন কমিয়ে ঐক্য স্থাপন করতে পারেন, তাহলে ঝিনাইদহ-৩ আসনটি আবারও বিএনপির দখলে ফিরে আসবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও মনে করছেন, আসন্ন নির্বাচনে এই আসনে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। একদিকে বিএনপি ও সমমনা জোটের ঐক্যবদ্ধ প্রস্তুতি।
মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দীন বিশ্বাস বলেন, সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাস্টারের যোগ্য উত্তরসূরি মেহেদী হাসান রনি। তিনি মেধাবী, কর্মঠ ও দক্ষ সংগঠক।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, দল যখন কঠিন সময় পার করছিল, তখনও রনি সাহসিকতার সঙ্গে মাঠে ছিলেন। আজ কেন্দ্র থেকে তার সেই ত্যাগ ও নিষ্ঠার যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়েছেন। এতে মহেশপুরের মানুষ সত্যিই আনন্দিত।
মেহেদী হাসান রনি বলেন, তিনি বিভক্ত তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনবেন। দল যে তাকে মূল্যায়ন করেছেন সে কারণে দলের হাইকমান্ডকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
প্রতিনিধি/এসএস