ঢাকা মেইল ডেস্ক
০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৮ পিএম
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসনে লড়তে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আসনগুলো হলো- দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১।
১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বেগম জিয়া তার প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। যদিও পরবর্তী ১৫ বছরে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতার বাইরে রেখেছিলেন হাসিনা। কিন্তু তারপরও রাজনৈতিক ময়দানে বিএনপি ছিল শক্তিশালী। বিএনপি তিনবার — ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে দলের লড়াইয়ের মনোভাব বজায় রেখেছিল।
দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরে আসার পর থেকে খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। খালেদা জিয়া নিজ দলের নেতৃত্ব যেমন দিয়েছেন, তেমনি নির্বাচনের মাঠেও তাঁর সাফল্য শতভাগ।
১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সবগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত প্রায় তিন দশক ধরে দেশের নির্বাচনে খালেদা জিয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। নির্বাচনে খালেদা জিয়া কখনোই পরাজিত হননি।

১৯৯১ সাল থেকে শুরু করে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনটি সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া প্রতিবারই পাঁচটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন এবং সবগুলো আসনে তিনি জয়লাভ করেছেন। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত একতরফা নির্বাচনেও খালেদা জিয়া প্রার্থী ছিলেন।

এরপর ২০০৮ সালে খালেদা জিয়া তিনটি আসনে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করে তিনটিতে জয়ী হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছিল বিএনপি। সেই নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ৩০টি আসন পেলেও খালেদা জিয়া নির্বাচনে জয়লাভ করতে কোনো অসুবিধা হয়নি।

২০১৮ সালের নির্বাচনেও খালেদা জিয়া তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন। এসব আসন হচ্ছে – ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭। কিন্তু দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হবার কারণে নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে পড়েন তিনি।

খালেদা জিয়ার অতীত নির্বাচনগুলো পর্যালোচনা দেখা যায়, তিনি বগুড়া, ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং চট্টগ্রামের আসন থেকে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এছাড়া ১৯৯১ সালে ঢাকার একটি আসন থেকে এবং ২০০১ সালে খুলনার একটি আসন থেকে ভোটে লড়েছেন তিনি।
নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শুধু জয়লাভ করাই নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ভোটের ব্যবধানও ছিল বেশি।
ক.ম/