নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২২ পিএম
চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে গেলে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলনকে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি জানান, চিকিৎসার উদ্দেশে ব্যাংককে যাত্রাকালীন ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কাউন্টারে তাকে জানানো হয়, তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চাইলে তার কোনো জবাব দেওয়া হয়নি।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান এহসানুল হক মিলন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংককে অবস্থানকালে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বৈঠকে তাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। দলের নির্দেশনায় তিনি চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখে ২৫ অক্টোবর দেশে ফিরে এসে সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। পরে ৩০ অক্টোবর পুনরায় চিকিৎসার উদ্দেশে ব্যাংকক যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে বাধার সম্মুখীন হন।
মিলন দাবি করেন, তিনি স্বচ্ছ, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী একজন মানুষ, যিনি কখনো কোনো চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। দেশ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি আমেরিকার নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট ত্যাগ করে দেশের রাজনীতিতে যুক্ত হন।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে তার পরিবারসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল। তখন বিরোধী দলের নেতাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখা হতো রাজনৈতিক নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে।
সরকারের উদ্দেশে মিলন আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, বর্তমান সরকার কোনো ভুল তথ্য বা ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হবে না এবং দেশের প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক ও মানবিক অধিকার রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এএইচ/এএইচ