কার নির্দেশে নুরকে রক্তাক্ত, প্রশ্ন সারজিস আলমের

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে কার নির্দেশে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে—এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে তার ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে নুরের ওপর হামলার ভিডিও শেয়ার করে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।

সারজিস আলম বলেছেন, ফ্যাসিস্টবিরোধী লড়াইয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনের অন্যতম সহযোদ্ধা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ওপর সেনাবাহিনীর এই বর্বর রক্তাক্ত হামলাকে আমি স্বাভাবিক হামলা হিসেবে দেখি না।

তিনি বলেন, আর্মি কখনো ওপরের নির্দেশ ছাড়া একটা পা-ও ফেলে না। সেনাবাহিনীর মধ্যকার কার নির্দেশে নুর ভাইকে রক্তাক্ত করা হলো এ জবাব সেনাপ্রধানকে দিতে হবে। সেনাবাহিনীর মধ্যকার কারা একটা পার্টির আহ্বায়ককে মেরে হলেও জাতীয় পার্টিকে রক্ষার মিশনে নেমেছে সেটাও খুঁজে বের করতে হবে।

ওই ফেসবুক পোস্টে এনসিপির মুখ্য সংগঠক আরও লিখেছেন, পুলিশের মধ্যকার যে আওয়ামী দালালরা এখনো রয়ে গেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এই সেনাবাহিনী এবং পুলিশ অবশ্যই নুরুল হক নুরকে ভালো করে চিনে। তারপরও প্ল্যান করে তাঁকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। যারা পিছন থেকে কালো হাতের খেলা খেলার চেষ্টা করছে তাদের কালো হাত ভেঙে দেওয়া হবে।

এর কিছুক্ষণ আগে দেওয়া অপর এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, প্ল্যান-বি হলো জাতীয় পার্টির ওপর ভর করে লীগকে ফেরানো। সেজন্য জাতীয় পার্টির বিষয়ে জিরো টলারেন্সে উত্তরপাড়া-দক্ষিণপাড়া মিলে-মিশে একাকার।
 
সারজিস আলম ওই স্ট্যাটাসে আরও লেখেন, নুর ভাইদের ওপর বর্বরতম হামলার মূল কারণও এটা। অর্থাৎ জাতীয় পার্টির বিষয়ে স্ট্রং মেসেজ দেওয়া হলো সব দলকে! এমন ঘৃণ্যতর হামলার নিন্দা জানাচ্ছি।

জাতীয় পার্টির বিচার দাবি করে তিনি লিখেছেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে অপরাধী, তার দোসর, বি টিম এবং বৈধতা দানকারী জাতীয় পার্টিও একইভাবে অপরাধী। জাতীয় পার্টিকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি একই পথের পথিক। তাদের পরিণতিও একই হবে।

এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর রমনার বিজয়নগর এলাকায় গণঅধিকার পরিষদ ও জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা‑কর্মীদের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী লাঠিচার্জ করে। এতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদসহ দলটির অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া একজন পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন।

/এএস