মো. মেহেদী হাসান হাসিব
১৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দীতে কয়েক লাখ নেতাকর্মীর সমাগমে চলছে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সেখানে আগত নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, প্রয়োজনীয় সরস্কার শেষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে বর্তমান সরকার।
শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশের স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রমনা পার্কে সরেজমিনে ঘুরে একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে এমন প্রত্যাশার কথা জানা যায়।
গাজীপুর থেকে এসেছে জামায়াতের তৃণমূল কর্মী মো. জাকির হোসেন। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘সরকার যে সময়টা ঠিক করেছে, সে সময়ে নির্বাচন হলে সাধারণ জনগণের ক্ষতি হবে। আমরা চাই সংস্কারের পর পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। এখন যারা নির্বাচন চাচ্ছে, তারা চাঁদাবাজি ও জবরদস্তির সঙ্গে জড়িত।’
সিলেট থেকে এসেছেন মো. মাহবুব হোসেন। জামায়াতের এই কর্মী ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর এমন একটা আয়োজন হচ্ছে। আমরা চাই দল আবার পূর্ণ শক্তিতে মাঠে নামুক। আমাদের প্রত্যাশা সংস্কার ও স্থানীয় নির্বাচন আগে।’

চট্টগ্রাম থেকে আসা দলটির তৃণমূল নেতা আরিফ হাসান ঢাকা মেইলকে সরকারঘোষিত সময়ে নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা জানান, তবে সেটি হতে হবে পিআর পদ্ধতিতে। তিনি বলেন, ‘আমরা আগে সংস্কার চাই। তারপর স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হবে। এরপর পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এটা আমাদের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা।’
আরেক নেতা বলেন, ‘ইসলামী মূল্যবোধ নিয়ে যারা রাজনীতি করে, তাদের একটা গণভিত্তি আছে। নির্বচানটাও সেভাবে করতে হবে।’
এর আগে গত ১৫ জুলাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে মেজরিটি দল পক্ষেই আছে। কোনো এক জায়গায় একটা সলিউশন বের করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ মেজরিটি থাকতে হবে। একটি মাত্র দল বা সরকারি দল সংবিধান সংশোধন করে ফেলবে, এটা আমরা চাই না।’
তাহের আরও বলেন, ‘কিছু সংখ্যক দল ছাড়া আমরা বেশিরভাগই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়ে একমত হয়েছি। পিআর পদ্ধতির ব্যাপারেও আমরা একমত হয়েছি।’
এমএইচএইচ/এএইচ