images

রাজনীতি

সমাবেশে ঘিরে উৎসবের আমেজ, উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ জুলাই ২০২৫, ০২:০৮ পিএম

জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে লাখ লাখ নেতাকর্মী এসে সোহরাওয়ার্দী মাঠে জমায়েত হয়েছে। নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, উচ্ছ্বসিত নবীন ও প্রবীণ নেতাকর্মীরা। সমাবেশ বাস্তবায়নে এক মাস ধরে সারাদেশে প্রচারণা ও গণসংযোগ করেন দলের নেতাকর্মীরা। পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে ঢাকার অলিগলি। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাঁটানো হয়েছে বড় বড় বিলবোর্ড।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে দলীয় পতাকা ও দলের নাম লেখা গেঞ্জিসহ বিভিন্ন প্রকাশনা বিক্রির ধুম পড়েছে। দলটির নেতাকর্মীরা রঙবেরঙের টিশার্ট পরে ও মাথায় ফিতা লাগিয়ে সমাবেশে অংশ নিয়েছে। দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা আর পতাকা হাতে নিয়ে দলে দলে সমাবেশস্থলে আসছেন তারা।

শনিবার (১৯ জুলাই) শাহবাগ, কাকরাইল, মৎস্য ভবন এলাকা ঘুরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এই সমাবেশ সোহরাওয়ার্দী মাঠে জামায়াতের প্রথম একক কোন সমাবেশ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে খামারবাড়ি, ফার্মগেট হয়ে নীলক্ষেত-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত, এদিকে চানখারপুল, পল্টন, গুলিস্তান, মতিঝিল পর্যন্ত বিস্তৃত লোকেলোকারন্য।

নেতাকর্মীরা জানান, আজকের সমাবেশ একটি ইতিহাস তৈরি করবে। এতো মানুষে উপস্থিতি এর আগে কোনো সমাবেশে দেখা যায়নি। এছাড়া আজকের সমাবেশ থেকে আগামী দিনের জন্য দিকনির্দেশনা দেবেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

খুলনা থেকে আগত জামায়াতে এক নেতা বলেন, অনেকদিন পর ঢাকায় বড় সমাবেশ হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।

তরুণ নেতাকর্মীরা বেশি এসেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমার নেতৃত্বে প্রায় ৩০০ জন আজকের সমাবেশে অংশ নিয়ে নিয়েছেন।

তরুণ এক নেতা ঢাকা মেইলকে বলেন, বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে আজকের সমাবেশ। আজকের উপস্থিতই প্রমাণ করবে আগামীর নির্বাচনের ফলাফল।

সমাবেশের মূল অধিবেশন শুরু হয় দুপুর ২টায়। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এছাড়া বক্তব্য দেবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও আলেম সমাজ।

এমআর/এমএইচটি