images

রাজনীতি

যারা দেশ ছাড়তে ভয় দেখায়, তারাই দেশ ছাড়ে: ড. মাসুদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৪ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৫ পিএম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ‘জামায়াতের কোনো নেতা কখনো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। বরং দেশের প্রয়োজনে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বিদেশ থেকে ফিরে এসেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কথায় কথায় মানুষকে দেশ ছাড়ার হুমকি দিত। শেষমেশ তারাই বাংলা ছেড়ে নিজেদের ঠিকানায়—ভারতে চলে গেছে। এখন আবার একটি দল জামায়াতকে দেশ ছাড়তে বলছে। যারা দেশ ছাড়ার হুমকি দেয়, বাস্তবে তারাই দেশ ছেড়ে পালায়।’

সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখা আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন ২০১৩ সালের ১ জুলাইয়ের আন্দোলনে আহত ও পঙ্গু শ্রমিকরা।

ড. মাসুদ আরও বলেন, ‘জামায়াতের নেতারা ফাঁসির মঞ্চে গিয়েছেন, কিন্তু আপস করেননি। সজীব ওয়াজেদ জয় আড়াই লাখ কর্মী নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েও জামায়াতকে দমন করতে পারেননি। এখন ‘সাইবার ফোর্স’ গঠনের নামে লাখ লাখ কর্মী নিয়োগ দিয়ে নতুন করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো যারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তারা ইতিহাসে পরাজিত হয়েছে। যারা এখন সেই পুরনো, ব্যর্থ রাজনীতি নতুনভাবে চর্চা করতে চাচ্ছে, তারাও একই পরিণতির শিকার হবে।’

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যেই জুলাইয়ের যোদ্ধাদের বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা এমন একটি কল্যাণরাষ্ট্র চাই, যেখানে কেউ কাউকে পাথর মেরে হত্যা করবে না, নারীর ওপর সহিংসতা থাকবে না, এবং সবাই ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী শহীদ পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে দুই লাখ টাকা করে সহায়তা দিয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে ১ হাজার ৫০০ পৃষ্ঠার ১০ খণ্ডে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আহতদের নিয়েও বই প্রকাশ করা হবে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ চলে যাওয়ার পরও সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ বন্ধ হয়নি। আজ যারা এসব অপরাধ করছে, তারাই জামায়াতের বিরুদ্ধে মিছিল করছে—কারণ আমরা এসবের প্রতিবাদ করি।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি সোহেল রানা মিঠু। সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং আহত-শহীদদের পরিবারের সদস্যরা।

সভায় জামায়াত নেতারা ১৯ জুলাইয়ের ঢাকা সমাবেশে উপস্থিত থেকে সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

টিএই/একেবি