images

রাজনীতি

মিটফোর্ড এলাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড: যুবদলের দুই নেতা আজীবন বহিষ্কার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১১ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৫ পিএম

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের মূল ফটকে প্রকাশ্যে মোহাম্মদ সোহাগ নামে এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও পাথর দিয়ে থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় যুবদলের দুই নেতাকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

তারা হলেন- যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকি। এই দুজনই ব্যবসায়ী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

শুক্রবার (১১জুলাই) যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিন্টু ও লাকিকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। 

যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ওই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কোনোরূপ শৈথিল্য না দেখিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে যুবদলের পক্ষ থেকে।

33

এদিকে, প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে বীভৎসভাবে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় প্রধান আসামিসহ চারজনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরমধ্যে প্রথমে র‌্যাবের হাতে দুজন এবং পরে পুলিশের হাতে দুজন গ্রেফতার হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে একদল লোক লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামে এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর কোতয়ালি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

পরবর্তীতে পুলিশ নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য তা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। 

ওই ঘটনায় নিহত ব্যবসায়ীর বড় বোন বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এজাহারভুক্ত আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে গ্রেফতার করে। এ সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিইউ/এএইচ