নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৫ পিএম
সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানের নামে বরিশালে মামরা হওয়ায় ঘটনায় দল থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এই মামলাকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক আখ্যা দিয়েছে তারা।
শুক্রবার (৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদের ভূমিকা অপরিসীম। একটি বৈষম্যহীন, কল্যাণরাষ্ট্র বিনির্মাণে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে গণঅধিকার পরিষদের অসংখ্য নেতাকর্মী হামলা-মামলা-জেল-জুলুমের শিকার হয়েছে।’
‘গণঅভ্যুত্থানে গণঅধিকার পরিষদ ও তার অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী শহীদ ও আহত হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদি জমানায় যেভাবে আমরা হামলা-মামলা-বঞ্চনার শিকার হয়েছি, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের আমলেও তার ধারাবাহিকতা দুঃখজনক।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানসহ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি ধৃষ্টতার পরিচয় দিয়েছে। এই মামলা গ্রহণ করার নির্দেশনা দিয়ে বিচারক ফ্যাসিবাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যা জুলাই গণঅভ্যুত্থান অবমাননার শামিল।’
‘এই মামলা শুধু নুরুল হক নুর, রাশেদ খাঁন ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নয়, বরং জাতীয় পার্টির কাঁধে ভর করে পরাজিত ও পলাতক আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ভয়ংকর প্রত্যাবর্তনের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।’
আরও পড়ুন: বরিশালে ভিপি নুরসহ গণঅধিকারের ২৫ নেতার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের নির্দেশ
এর আগে বরিশালে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের নুর ও রাশেদসহ দলটির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) আদালত মামলাটি এজাহারভুক্ত করতে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
জাতীয় পার্টির বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মামলার আইনজীবী আব্দুল জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলায় নুরকে করা হয়েছে প্রধান আসামি। এছাড়া রাশেদ, বরিশাল জেলা সভাপতি এইচএম শামীম রেজা ও সাধারণ সম্পাদক এইচ এম হাসান, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি আরও ৭০-৮০ জন।
মামলার ব্যাপারে বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল জলিল জানান, ৩১ মে রাতে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা নগরীর ফকিরবাড়ি রোডে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। ঘটনার পর তারা থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। পরে আদালতে অভিযোগ জানানো হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অভিযোগপত্র থানায় পাঠানো হয়েছে। ডিউটি অফিসার এসআই ডলি আদালতের আদেশ গ্রহণ করেছেন।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় পার্টির মামলা-সংক্রান্ত আদালতের কোনো কাগজপত্র এখনো হাতে পাইনি। তবে ডিউটি অফিসার যদি গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে যথাসময়ে আমরা তা হাতে পাবো।’
এএইচ