পিআর পদ্ধতির নির্বাচন বিভেদ-বিভাজন তৈরি করবে: এ্যানী

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘দেশের প্রেক্ষাপটে এই মুহুর্তে যদি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে সেটি নিজেদের মধ্যে বড় ধরনের বিভেদ-বিভাজন তৈরি করবে।’

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পরিদর্শনকালে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

এ্যানী বলেন, ‘কেউ কেউ বলতে শুরু করেছে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন করতে হবে। দুই-একটা রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তির কাছ থেকে এমন বক্তব্য এসেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই মতবাদ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশেই পিআর পদ্ধতি আছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা সম্ভব না। যদি হয়, তাহলে ফ্যাসিস্ট এখানে বড় সুযোগ পেয়ে যাবে।’

তার অভিযোগ, ‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট রাজনীতি সরাসরি আপনাকে-আমাকে আঘাত করেছে, দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, দেশের রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে, সামাজিক ব্যবস্থা নষ্ট করেছে। অনেক কাজ আমরা করতে পারি নাই, প্রশাসনকে তারা জিম্মি করেছিল, ধ্বংস করে দিয়েছিল। তাদেরকে কোনোভাবেই সুযোগ দেওয়া যাবে না।’ 

এ্যানী বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেই আলোচনার প্রত্যেকটা কথার মধ্যে বিশ্বাস, আস্থা ও সম্মান জড়িত। এতে দেশ ও জাতির ভবিষ্যত বাংলাদেশের কথা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার আলোচনায় আমরা সাহস ও মনোবল পেয়েছি। আনন্দিত হয়েছি। আশা করছি, রোজার আগে ফেব্রুয়ারি মাস শীতের মৌসুম, একটি উপযুক্ত সময়ে যদি একটি সুন্দর নির্বাচন হয়, এই নির্বাচনটা স্বতঃস্ফূর্ত হবে, উৎসবমুখর নিরপেক্ষ হবে। আমরা সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্টের বিচারের জন্য আমাদেরকে এখন থেকে একটি সুদৃঢ় ঐক্য গড়তে হবে। সেই ঐক্যের ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। এই ঐক্যের ভিত্তিতে দেশটাকে গড়তে চাই, নতুন করে নির্মাণ করতে চাই। নির্মাণ করতে হলে একেক রাজনৈতিক দলের একেকটা বক্তব্য থাকতে পারে, মতভেদ থাকবে, প্রতিযোগিতা থাকবে, কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, দেশ গড়ার স্বার্থে আমাদেরকে ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে বৃহত্তর স্বার্থের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা বলেছি, যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছি যুগপৎ সংগ্রাম-লড়াই করেছি, তারা সবাই মিলে জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার গঠন করব।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক এম বেলাল হোসেন, সদস্যসচিব মো. আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম ইউসুফ ভূঁইয়া, সোহেল মাহমুদ, শরীফ উদ্দিন পাটওয়ারী, জেলা যুবদলের সদস্যসচিব আবদুল আলিম হুমায়ুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবির স্বপন, জেলা কৃষকদলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল।

এএইচ