images

রাজনীতি

বন্যার্তদের নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করছে: কাদের 

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ জুন ২০২২, ০৩:১২ পিএম

বন্যার্তদের নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এমন দুঃসময়ে দেশবাসীর বন্যার্তদের পাশে থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

রোববার (১৯ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এই কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'দুর্যোগপূর্ণ এই সময়ে দেশের সব মানুষের উচিত দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে থাকা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বন্যার্তদের নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি শুরু করছে। দুর্গত মানুষকে নিয়ে পরিহাস করছে।'

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'সিলেটের বন্যা কোনো মানবসৃষ্ট দুর্যোগ নয়- এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার অতীতের যেকোনো সরকারের চেয়ে সফলতা অর্জন করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সফলতা বিশ্বসভায় প্রশংসিত হয়েছে।'

বিএনপি এ সময় বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবে এমন আশা প্রকাশ করে কাদের বলেন, 'আমি আশা করবো সরকারের প্রতি কোনো রকম বিষোদগার বা দোষারোপ না করে, এই দুর্যোগের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াবে। বিএনপি নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানাচ্ছি, অন্তত এই দুর্যোগকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ থেকে বিরত থাকুন— জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় এমন ধরনের

মিথ্যাচার ও অপপ্রচার পরিত্যাগ করুন।'

বিএনপির আচরণকে 'অমানবিক' আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, 'দেশের মানুষ যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যার কারণে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত ঠিক এ সময়েই মির্জা ফখরুলের হীন রাজনৈতিক আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক। বিএনপির আচরণ খুব অমানবিক। অতীতে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ জনগণ দেখেনি। শুধুমাত্র বিএনপি নেতারা লিপ সার্ভিসের মাধ্যমে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে মিথ্যাচারের রাজনীতি করেন।'

বন্যায় সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, 'বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের সৃষ্ট বন্যার কারণে মানুষের জানমাল রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ স্থানীয় প্রশাসন মানুষের কষ্ট লাঘবে সর্বাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের জন্য ৬০০ আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী টোল ফ্রি নম্বর চালু করেছে। বানভাসি মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় ইমার্জেন্সি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। পাশাপাশি পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে মনিটরিং টিম ও মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সরকারের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পানিবন্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার, পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, প্রয়োজনীয় ঔষধ ও স্যালাইনের পাশাপাশি রান্না করা খাবারও বিতরণ করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ।'

কাদের বলেন, 'বন্যার পানি দ্রুত নামিয়ে যাতে মানুষের কষ্ট লাঘব করা যায় সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। কোনো রাস্তার কারণে পানি নামতে বাধা পেলে ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই রাস্তা কেটে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেছেন। বন্যার পানি নেমে গেলে এই তৎপরতা আরও জোরদার করা হবে।'

কারই/জেবি